সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ সরিষাবাড়ীর মেয়রের বিরুদ্ধে

পৌরসভার মেয়র রুকুনুজ্জামান রুকন। পাশের ছবিতে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ তুলে ধরেন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় পৌরসভার মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও তার পরিবারকে মারধর, ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে বাসভবন অবরুদ্ধ, কর্মস্থলে যাওয়া বাধা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

২৪ এপ্রিল ১২টায় মুজিবনগর সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। মেয়রের অব্যাহত হুমকি ও বাসা অবরুদ্ধ করায় তিনি করোনা সংক্রান্ত সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী পৌরসভার আরামনগর বাজার কাঠহাটি বাসায় বসবাস করেন। পৌর মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন ২২ এপ্রিল সকালে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে অতর্কিত ওই কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা করেন। এসময় গোলাম রব্বানী এগিয়ে এসে কথা বলতে চাইলে মেয়র তাকে মারধর করে টেনে হেঁচড়ে রাস্তায় বের করেন। পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে দলবল নিয়ে তাদেরও মারধর করেন।

একপর্যায়ে তাকে পৌরসভার মেয়র রোকন বলেন, ‘আমার ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার আছে, তোদের সবাইকে এরেস্ট করলাম।’ এসময় তিনি মেয়রকে করোনা সংক্রান্ত অফিসের জরুরি কাজের কথা বললে মেয়র আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বকাবকি করে।

গোলাম রব্বানী অভিযোগ করেন, ঘটনার পর মেয়র পুনরায় বাসার সামনে এসে ফেসবুক লাইভে উল্টো তার বিরুদ্ধে মনগড়া বক্তব্য দেন। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে বাসা উচ্ছেদ ও পরিবারের লোকদের গুম করার হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে বাসার সামনে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে পাহারা রেখেছেন। অবরুদ্ধ হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।

এদিকে গোলাম রব্বানী নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান জানান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেয়রের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন এ প্রতিবেদককে বলেন, গোলাম রব্বানী পৌরসভার উন্নয়নমূলক ড্রেনেজ কাজে বাধা দিয়েছে। অনুমতি না নিয়ে বাসা করেছেন গোলাম রব্বানী। তার নাকি অনেক ক্ষমতা। পৌরসভার আইন না মানায় আমিই তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছি। মারধরের বিষয় আমি জানিনা।