গুজব বন্ধে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের প্রচারণা

গুজব বন্ধে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের মাইকিং প্রচারণা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

সারাদেশের ন্যায় জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলাতে ছেলেধরা সন্দেহে গত এক সপ্তাহে কয়েকজন নারী ও পুরুষকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এতে করে জনসাধারণের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা যায়, ২৩ জুলাই ডোয়াইল ইউনিয়নের হরখালি মজিবুর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা থেকে ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন মধুমালা নামে এক নারীকে গণপিটুনি দেয় জনগণ। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় তাকে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। এদিকে পৌগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দারপাড়া গ্রামে প্রদীপ নামে নওমুসলিম এক জনকে গণপিটুনি দেয় জনগণ। পরে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানের সহায়তায় তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোর্পদ করা হয় তাকে। ২৩ জুলাই পৌর এলাকার পপুলার মোড়ে ছেলে ধরা সন্দেহে নারী এক ভিক্ষুক গণপিটুনির শিকার হন।

এতে করে পৌর এলাকাসহ উপজেলার সব ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

এদিকে ২৪ জুলাই সকাল থেকে সরিষাবাড়ী থানার পক্ষ থেকে গুজব জড়াবেন না, ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে মারপিট না করে পুলিশে সোর্পদ করুন, আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না বলে মাইকিং করে রাস্তায় রাস্তায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জনসাধারণের মাঝে প্রচার করা হচ্ছে।

এতে আরো প্রচার করা হয় যে, গুজবকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে বেশ কয়েকজনের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাবাসীর জ্ঞাতার্থে আবারো জানানো যাচ্ছে যে, এটি সর্ম্পূণরূপে একটি গুজব। কোনো প্রকার গুজবে কান দিবেন না এবং গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু ঘটানো গুরুতর ফৌজদারী অপরাধ। কাউকে ছেলে ধরা হিসেবে সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিবেন বলে মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে।