লক্ষ্মীরচরে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কাজ

গুচ্ছগ্রামে নির্মাণাধীন ঘর। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের মধ্যেরচর ও শরিফপুর ইউনিয়নের চর হামিদপুর এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ বরাদ্ধকৃত গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প দুটির কাজ দ্রুত গতিতে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। হতদরিদ্রদের জন্য এই গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প দু’টির কাজ পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন করা হলে ১১০টি পরিবারের মাথাগুজার ঠায় হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ১১০টি ঘরের মধ্যে দু’টি ঘর নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় ৪০টি ঘরের আরসিসি খুঁটিতে ট্রাস/এঙ্গেল এর মাধ্যমে নির্মাণ কাজ চলছে এবং বাকিগুলোর আরসিসি খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে।

নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান সম্পর্কে জানতে চাইলে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কর্মচারীরা জানান, এইখানে উন্নতমানের আরসিসি খুঁটি, ভারি ও মোটা এঙ্গেল ও ট্রাস ব্যবহার করা হচ্ছে। যা টেকসই ও মজবুত। ল্যাট্রিনের জন্য যে রিং, স্লাব, বাঁশের বেড়া ব্যবহার হচ্ছে তা খুব ভাল মানের।

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৫ সদস্য বিশিষ্ট গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক প্রকল্প দু’টিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি ও অভিজ্ঞ মিস্ত্রি দ্বারা নির্মাণ কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। এই কমিটির সদস্যরা সার্বক্ষনিক তদারকির মাধ্যমে গুণগত মানের সামগ্রী দিয়ে প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে। প্রকল্প দু’টিতে ব্যবহার করা হচ্ছে আরসিসি খুঁটি, ট্রাস ও এঙ্গেল। এ ছাড়াও প্রকল্পের ল্যাট্রিনের রিং, স্লাব, বাঁশের বেড়াগুলোও খুবই গুণগত বলে জানা যায়।

গুচ্ছগ্রামে নির্মাণাধীন ঘর। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

প্রকল্প দুটির বিষয়ে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের মধ্যেরচর ও শরিফপুর ইউনিয়নের চরহামিদপুরের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনটি সভা করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে স্ব স্ব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী সকলেই স্ব স্ব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে তৎপর রয়েছে।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প দুটির কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। এ ছাড়াও এ প্রকল্পের উর্ধতন কর্মকর্তারা রয়েছেন যারা ইতিমধ্যেই প্রকল্প দুটি পরিদর্শন করেছেন এবং কার্যক্রমে সন্তুষ্টী প্রকাশ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, আমরা আশাবাদী আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প দু’টির কাজ শেষ করে উপকারভোগী বাছাইয়ের মাধ্যমে তাদের কাছে ঘরগুলো হস্থান্তর করতে পারবো।