শেরপুরে বক ও অন্যান্য পাখি শিকারের অপরাধে এক ব্যক্তিকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার ধলাকান্দা এলাকায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ওই শিকারির নাম মো. উকিল মিয়া (১৯)। তিনি সদর উপজেলার চান্দের নগর গ্রামের মৃত সামিদুল হকের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধলাকান্দা গ্রামের নিচু এলাকার ধানক্ষেত ও বিলের ধারে দেশীয় পাখি ধরার ফাঁদ হালা দিয়ে দেশীয় বক শিকার এবং তা প্রকাশ্যে বিক্রিও হচ্ছিল। পরে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল থেকে হালা ও ছয়টি বকসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক উকিল মিয়ার সাতদিনের সাজা ঘোষণা করা হয়।
এ সময় শেরপুরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. আব্দুল্লাহ আল আমিনসহ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে জনগণকে পাখি শিকার বন্ধে সচেতন করার জন্য পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ ব্যপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ৬ ধারা লঙ্ঘন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণ পাওয়ায় সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।
মুগনিউর রহমান মনি : নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম 



















