ঢাকা ০১:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের কারণেই বাংলাদেশের মানুষ ধানের শীষে ভোট দিবে : শামীম আহমেদ স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে : শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন শেরপুরে এনসিপি’র আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা : লিখন আহ্বায়ক ও সাফফারী জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক শেরপুরের নকলায় কৃষি কর্মকর্তার উপর ‘চড়াও’ ছাত্রদল, নেতা বহিষ্কার : দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন মাদারগঞ্জে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থামাতে পারেনি মানিককে শাপলাকলি প্রতীক পাওয়ায় সরিষাবাড়ীতে এনসিপি’র শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত বিগত দিনে যমুনা সারকারখানা মেরামতের নামে অর্থ লুটপাট হয়েছে : শামীম তালুকদার প্রাথমিকের ১০,২১৯ সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পথসভায় ইসলামপুরের এমপি প্রার্থী সুলতান মাহমুদকে পেয়ে নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস

মাদারগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমায় টিইও’র গড়িমসি

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম মোসলেমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছরীন বেগম পান্নার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে গড়িমসি করছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) নুরুল আমিন। তদন্তের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও জেলা শিক্ষা অফিসে প্রতিবেদন পৌঁছায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা ধামাচাপা দিতেই টিইও ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবেদন জমা দিতে বিলম্ব করছেন।

৬ আগস্ট, বুধবার বাংলারচিঠি ডটকমে “৬ শিক্ষকের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই একজনও, পতাকা অর্ধনমিত” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতি, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত না থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

প্রতিবেদকের সরেজমিন তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা মেলে। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা স্বীকার করেন, ম্যাডাম উপজেলা অফিসে গেছেন। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকার কারণ তারা ব্যাখ্যা করতে চাননি।

বিষয়টি নিয়ে তখন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন বলেছিলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহসান ১০ আগস্ট, রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের নির্দেশ দেন। নির্দেশনার পর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্তও সম্পন্ন করেন। কিন্তু এক মাস ২৫ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রতিবেদন জমা হয়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহসান এ প্রতিবেদককে বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কোন তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে জমা দেননি। প্রতিবেদন পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্যদিকে টিইও নুরুল আমিন দাবি করে এ প্রতিবেদককে বলেছেন, আমি তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।

জেলা অফিসের বক্তব্য ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় বিষয়টি এখন প্রশাসনিক জটিলতায় পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবেদন গায়েব রেখে দায়ীদের রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা চাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরুক। অনিয়মকারী যত বড় কর্মকর্তা হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন ২০১৯ সালের ১৩ মে থেকে মাদারগঞ্জে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিনের অবস্থানই তাকে প্রশাসনিকভাবে প্রভাবশালী করে তুলেছে। ফলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

মাদারগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমায় টিইও’র গড়িমসি

আপডেট সময় ১০:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম মোসলেমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছরীন বেগম পান্নার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে গড়িমসি করছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) নুরুল আমিন। তদন্তের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও জেলা শিক্ষা অফিসে প্রতিবেদন পৌঁছায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা ধামাচাপা দিতেই টিইও ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবেদন জমা দিতে বিলম্ব করছেন।

৬ আগস্ট, বুধবার বাংলারচিঠি ডটকমে “৬ শিক্ষকের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই একজনও, পতাকা অর্ধনমিত” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতি, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত না থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

প্রতিবেদকের সরেজমিন তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা মেলে। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা স্বীকার করেন, ম্যাডাম উপজেলা অফিসে গেছেন। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকার কারণ তারা ব্যাখ্যা করতে চাননি।

বিষয়টি নিয়ে তখন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন বলেছিলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহসান ১০ আগস্ট, রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের নির্দেশ দেন। নির্দেশনার পর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্তও সম্পন্ন করেন। কিন্তু এক মাস ২৫ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রতিবেদন জমা হয়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহসান এ প্রতিবেদককে বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কোন তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে জমা দেননি। প্রতিবেদন পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্যদিকে টিইও নুরুল আমিন দাবি করে এ প্রতিবেদককে বলেছেন, আমি তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।

জেলা অফিসের বক্তব্য ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় বিষয়টি এখন প্রশাসনিক জটিলতায় পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবেদন গায়েব রেখে দায়ীদের রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা চাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরুক। অনিয়মকারী যত বড় কর্মকর্তা হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন ২০১৯ সালের ১৩ মে থেকে মাদারগঞ্জে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিনের অবস্থানই তাকে প্রশাসনিকভাবে প্রভাবশালী করে তুলেছে। ফলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।