জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে এ কে এম ফয়জুল কবীর তালুকদার শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক পদে জহুরুল ইসলাম পিন্টু নির্বাচিত হয়েছেন।
৫ জুলাই, শনিবার দুপুরে জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম আরডিএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের প্রথম পর্ব উদ্বোধন করেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন।
সরিষাবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুল বারিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক শহিদুল হক খান দুলাল, যুগ্মসম্পাদক আহসানুজ্জামান রুবেল, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল, সহপ্রচার সম্পাদক সিপার মেহেদী, সদস্য লাবিব উদ্দিন তালুকদার লিটন, সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিম উদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মিলন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সজিব খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কাউসার আহমেদ, সদস্যসচিব সুমন মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন কর্নেল, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণচন্দ্র বসাক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মিলন।
দ্বিতীয় পর্বে পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড থেকে ৭১ জন করে মোট ৬৩৯ জন কাউন্সিলর ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দু’জন করে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তারা হলেন- সভাপতি পদে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র এ কে এম ফয়েজুল কবীর তালুকদার শাহীন এবং জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম রব্বানী লেকু। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম পিন্টু এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শাহ আশরাফুল আলম।
তাদের মধ্যে নির্বাচিত সভাপতি এ কে এম ফয়জুল কবির তালুকদার শাহীন (চেয়ার প্রতীক) পান ৩৭১ ভোট ও তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম রব্বানী লেকু (আনারস) ২৩০ ভোট। অন্যদিকে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম পিন্টু (ফুটবল প্রতীক) পান ৩৩৩ ভোট ও তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ আশরাফুল আলম ফকির (ছাতা) ২৬৫ ভোট।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নতুন কমিটি আগামী দিনে সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার উপর জোর দিতে হবে। জনগণের কাছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা তুলে ধরতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা দেখা যায়।