ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুরে ইয়াবাসহ এক নারী গ্রেপ্তার “বাংলাদেশের মানুষ সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচন চায়” জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তিন শহীদের স্মরণে সরিষাবাড়ীতে বৃক্ষরোপণ জামালপুরে পল্লীকন্ঠ পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জুলাইয়ের শহীদের স্মরণে ইসলামপুরে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত শেরপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জামালপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহীদদের স্মরণে ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস : জামালপুরে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত নান্দিনায় ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত জুলাই শহীদদের স্মরণে জামালপুরে বিএনপির শোক মিছিল অনুষ্ঠিত
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ প্রাপ্ত

জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

জামালপুর : কৃতী শিক্ষার্থীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে মেডিকেল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির সুযোগ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ জুলাই, শুক্রবার বিকালে কলেজ অডিটরিয়ামে এ সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, আমাদের শিক্ষার যে দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিবিম্ব তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় একজন শিক্ষার্থী কেউ ডাক্তার হতে চায়। কেউ ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। কিন্তু কেউ শিক্ষক হতে চায় না। এই অবস্থা থেকে যতদিন না বের হতে পারব ততদিন শিক্ষার প্রসারতায় মানবসমাজকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।

জামালপুর : প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

তিনি আরও বলেন, বলা হয় যে আমরা বিশ্বনাগরিক। কিন্তু নানা প্রতিকূলতায় আমরা বিচ্ছিন্ন হবার কারণে বৃহৎ কর্মকাণ্ডে বিশ্বনাগরিকের প্লাটফর্মে শিক্ষার্থীদের তুলে দিতে পারছি না। অভিভাবকদের সচেতনতা ও যত্নশীলতার মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে পারলে সেসব শিক্ষার্থী কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য আমরা একটি কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। তিনি অত্যন্ত পরিশ্রমী ছিলেন। পরিশ্রম করেছিলেন কিভাবে আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীরা ভাল রেজাল্ট করতে পারে। কিভাবে মানবিক মানুষ হিসেবে রূপ পায়। সার্বক্ষণিক তিনি নিবেদিত শিক্ষক ছিলেন। স্যারের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ তথা জামালপুরবাসী গৌরবিত ও আনন্দিত। স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কলেজ থেকে যেসব শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পেয়েছে তাদেরসহ অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কলেজের নিয়মানুবর্তিতা ও যত্নশীলতার কারণেই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে এসব শিক্ষার্থী। তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষে মানবিক ও উদার মানসিকতার মাধ্যমে দেশসেবার অনুরোধ জানান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থান পাওয়া শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান প্রভা অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমার এই কৃতিত্ব শুধু আমার একার নয়। এর পেছনে আমার বাবা-মা এবং সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্যারদের অবদান অত্যধিক। স্যারেরা যখন ক্লাস নিতেন আমি খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতাম। সেই পড়া শিখতাম। পড়াশোনায় কখনো ফাঁকি দিতাম না। আজকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আমি কলেজের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রফেসর মো. আব্দুল হাই আলহাদীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর এ কে এম আলিফ উল্লাহ আহসান, সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফাহিমা সুলতানা, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শিক্ষক সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সরকার আশেক মাহমুদ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম আকন্দ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা তাসলিম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়িতা অধিকারী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মোজাম্মেল হক, জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল রেদোয়ান ফুয়াদ প্রমুখ।

পরে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ সংবর্ধিত ১৭৪ জন কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মান্ননা ক্রেস্ট তুলে দেন। এই কলেজ থেকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। যারা নিবন্ধন করেছে তাদেরকেই সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় কলেজের শিক্ষকমণ্ডলী ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে ইয়াবাসহ এক নারী গ্রেপ্তার

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ প্রাপ্ত

জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

আপডেট সময় ০১:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে মেডিকেল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির সুযোগ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ জুলাই, শুক্রবার বিকালে কলেজ অডিটরিয়ামে এ সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, আমাদের শিক্ষার যে দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিবিম্ব তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় একজন শিক্ষার্থী কেউ ডাক্তার হতে চায়। কেউ ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। কিন্তু কেউ শিক্ষক হতে চায় না। এই অবস্থা থেকে যতদিন না বের হতে পারব ততদিন শিক্ষার প্রসারতায় মানবসমাজকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।

জামালপুর : প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

তিনি আরও বলেন, বলা হয় যে আমরা বিশ্বনাগরিক। কিন্তু নানা প্রতিকূলতায় আমরা বিচ্ছিন্ন হবার কারণে বৃহৎ কর্মকাণ্ডে বিশ্বনাগরিকের প্লাটফর্মে শিক্ষার্থীদের তুলে দিতে পারছি না। অভিভাবকদের সচেতনতা ও যত্নশীলতার মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে পারলে সেসব শিক্ষার্থী কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য আমরা একটি কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। তিনি অত্যন্ত পরিশ্রমী ছিলেন। পরিশ্রম করেছিলেন কিভাবে আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীরা ভাল রেজাল্ট করতে পারে। কিভাবে মানবিক মানুষ হিসেবে রূপ পায়। সার্বক্ষণিক তিনি নিবেদিত শিক্ষক ছিলেন। স্যারের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ তথা জামালপুরবাসী গৌরবিত ও আনন্দিত। স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কলেজ থেকে যেসব শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পেয়েছে তাদেরসহ অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কলেজের নিয়মানুবর্তিতা ও যত্নশীলতার কারণেই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে এসব শিক্ষার্থী। তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষে মানবিক ও উদার মানসিকতার মাধ্যমে দেশসেবার অনুরোধ জানান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থান পাওয়া শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান প্রভা অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমার এই কৃতিত্ব শুধু আমার একার নয়। এর পেছনে আমার বাবা-মা এবং সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্যারদের অবদান অত্যধিক। স্যারেরা যখন ক্লাস নিতেন আমি খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতাম। সেই পড়া শিখতাম। পড়াশোনায় কখনো ফাঁকি দিতাম না। আজকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আমি কলেজের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রফেসর মো. আব্দুল হাই আলহাদীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর এ কে এম আলিফ উল্লাহ আহসান, সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফাহিমা সুলতানা, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শিক্ষক সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সরকার আশেক মাহমুদ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম আকন্দ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা তাসলিম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়িতা অধিকারী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মোজাম্মেল হক, জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল রেদোয়ান ফুয়াদ প্রমুখ।

পরে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ সংবর্ধিত ১৭৪ জন কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মান্ননা ক্রেস্ট তুলে দেন। এই কলেজ থেকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। যারা নিবন্ধন করেছে তাদেরকেই সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় কলেজের শিক্ষকমণ্ডলী ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।