শেরপুরের নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে সিজার অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে সিজার অপারেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সন্তানসম্ভবা দরিদ্র পরিবারের নারী ও তাদের পরিবারদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
২৮ জুন, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়া উপজেলার কাজাইকাটা গ্রামের সাদিয়ার স্বামী হাবিবুল্লাহ জানান, তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব না হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক তার স্ত্রীর সিজার অপারেশন করেন। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সিজার করালে প্রায় ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হত। যা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এই সুযোগ পেয়ে আমি ও আমার পরিবার চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। নবজাতক ও তার মা উভয়ে সুস্থ রয়েছে।
সিজার অপারেশনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, গাইনি কনসালট্যান্ট ডাক্তার উম্মে রাকিবা জাহান মিতু, এনেস্থিসিয়া বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রিয়াজুল করিম, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইফতিখারুল আলম তানভীর, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নাঈমা ইসলাম পিংকি, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আবু কাওছার বিদ্যুৎসহ অন্যান্যরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এ প্রতিবেদককে বলেন, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল এই হাসপাতালে অপারেশন চালু করব এবং গরীব ও দরিদ্র পরিবারদের বিনামূল্যে সিজারিয়ান অপারেশন নিশ্চিত করব। এর ধারাবাহিতকায় আজ সিভিল সার্জন ডাক্তার মুহাম্মদ শাহিনের নির্দেশে সিজারিয়ান কার্যক্রম শুরু করলাম। প্রথমবারের মত সিজার অপারেশ সফল হয়েছে। নবজাতক ও তার মা সুস্থ্ রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এ অর্জন নকলা হাসপাতালের সকলের। কারণ সবার সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে। সন্তানসম্ভবা কোন নারী হাসপাতালে ভর্তি হলে প্রথমেই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান ভূমিষ্ঠ করাতে চেষ্টা করা হবে। এক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারিতে ব্যর্থ হলেই কেবল সিজার করা হবে।