শেরপুরে সামাজিক-রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও সহনশীলতা বাড়াতে করণীয় শীর্ষক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আস্থা প্রকল্পের সহযোগিতায় স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতি ২১ জুন, শনিবার শহরের থানা মোড় এলাকায় একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এই সংলাপের আয়োজন করে।
সংলাপ সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক বিপ্লব দে কেটু। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম।
এ সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ. বি. এম. মামুনুর রশিদ পলাশ, যুগ্মআহ্বায়ক মো. কামরুল হাসান, এনসিপি’র প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মো. লিখন মিয়া, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা মো. আব্দুল হালিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফখরুদ্দীন রাজী, যুব ফোরাম সদস্য সালিহা ফেরদৌস, যুগল কিশোর কোচ, মো. হাসান মিয়া, প্রেসক্লাবের কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল প্রমুখ।
শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু প্রতিহিংসা থাকবে না। বিএনপিকে জনসেবকের দল হিসাবে কাজ করতে হবে এটি আমাদের দলনেতা তারেক রহমানের নির্দেশ। তাই আমরা হাটে-মাঠে-ঘাটে সর্বত্র জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমাদেরকে নিরলস কাজ করে যেতে হবে।
এনসিপি’র প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মো. লিখন মিয়াসহ অন্যান্য বক্তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭ বছরের অপশাসনকালে সামাজিক-রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও সহনশীলতার সামান্যতম ছিটেফোটাও ছিল না। চায়ের দোকানে বসে চা খেলেও সেটাকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বলে পুলিশ দিয়ে ভয় দেখানো হতো। গুম, মামলা, হামলা করা হতো।
বক্তারা আরও বলেন, ভারতের প্রতি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের তোষণনীতির কারণে বাংলাদেশের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, রাজনীতিবিদসহ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর জাল বিস্তার করেছে, যা এখনও সামাজিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রধান অন্তরায়। সুতরাং ভারতের দালালদের চিহ্নিত করে নতুন এক বাংলাদেশ গঠনে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সম্প্রীতি ও সহনশীলতা বজায় রেখে কাজ করে যেতে হবে।
আস্থা প্রকল্প, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির, শেরপুর জেলা সমন্বয়কারী মো. ফিরোজ আহমেদের সঞ্চালনায় সংলাপ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাঠ কর্মকর্তা সায়িকা উম্মাসি।