ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ জামালপুর সদর উপজেলা মৎস্যজীবীদলের সভাপতি হলেন সাইদুর, সম্পাদক জয়নাল সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপেও জয়ের ধারা ধরে রাখতে চান আফঈদা যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করার সম্মতি পেয়েছে ইসি মাদারগঞ্জে ট্রলি-বাইসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, এক কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন ওসি খন্দকার শাকের জামালপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত ৪৮ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে বৃত্তির চেক দিল জামালপুর জেলা পরিষদ মেলান্দহে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তালবীজ রোপণ বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কাভার্ডভ্যান গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত

শেরপুরে গ্রাম আদালত সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শেরপুর : শেরপুরে গ্রাম আদালত সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে ‘গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৭ জুন, মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, শেরপুরের উপ-পরিচালক মো. রাজীব-উল-আহসান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।

বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায়ে প্রকল্প, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এভিসিবি-৩ প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী। কর্মলাশায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শাহ্ শিবলী সাদিক, স্থানীয় সরকার, শেরপুরের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসাইন, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা প্রমুখ।

প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী জানান, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে বর্তমান পর্যন্ত শেরপুর জেলায় গ্রাম আদালতে মোট দুই হাজার ৮২টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে নিষ্পত্তি করা মামলার হার শতকরা ৯৬ দশমিক ৪৯ ভাগ, বাস্তবায়িত সিদ্ধান্তের হার শতকরা ৯৯ দশমিক ৭৫ ভাগ এবং চার কোটি ৯২ লাখ নয় হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়। গ্রাম আদালতে বিচার প্রার্থীর মধ্যে নারী আবেদনকারী ছিল ৫০১ একজন। বিচার পক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী নারী ৩ ভাগ। এর মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে প্রেরিত মামলা ছিল ১২৫টি।

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এই গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে কাজ করতে হবে সমানভাবে এবং যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে। বিচারে যদি নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা থাকে তবে গ্রাম আদালতের সফলতার বিষয়টি এমনিই প্রচার পাবে বলে বিশ^াস রাখি।

তিনি আরও বলেন, এরপরেও গ্রাম আদালতে বিনাখরচে এবং অল্প সময়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ বিচার পাওয়া যায় এই বিষয়টি জিও, এনজিও, গণমাধ্যম কর্মী, মসজিদ, মন্দিরসহ সকল ক্ষেত্রে সবাই প্রচারণা চালালে এটির জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে জনসাধারণ ন্যায়বিচার পেলে সবাই ভাল থাকতে পারব এবং প্রচলিত আদালতের মামলা জট অনেক কমে যাবে। আর আমরা ভাল থাকলে দেশও অনেক ভাল থাকবে।

কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীগণ অংশ নেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

শেরপুরে গ্রাম আদালত সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৮:১১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

শেরপুরে ‘গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৭ জুন, মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, শেরপুরের উপ-পরিচালক মো. রাজীব-উল-আহসান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।

বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায়ে প্রকল্প, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এভিসিবি-৩ প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী। কর্মলাশায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শাহ্ শিবলী সাদিক, স্থানীয় সরকার, শেরপুরের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসাইন, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা প্রমুখ।

প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী জানান, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে বর্তমান পর্যন্ত শেরপুর জেলায় গ্রাম আদালতে মোট দুই হাজার ৮২টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে নিষ্পত্তি করা মামলার হার শতকরা ৯৬ দশমিক ৪৯ ভাগ, বাস্তবায়িত সিদ্ধান্তের হার শতকরা ৯৯ দশমিক ৭৫ ভাগ এবং চার কোটি ৯২ লাখ নয় হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়। গ্রাম আদালতে বিচার প্রার্থীর মধ্যে নারী আবেদনকারী ছিল ৫০১ একজন। বিচার পক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী নারী ৩ ভাগ। এর মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে প্রেরিত মামলা ছিল ১২৫টি।

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এই গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে কাজ করতে হবে সমানভাবে এবং যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে। বিচারে যদি নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা থাকে তবে গ্রাম আদালতের সফলতার বিষয়টি এমনিই প্রচার পাবে বলে বিশ^াস রাখি।

তিনি আরও বলেন, এরপরেও গ্রাম আদালতে বিনাখরচে এবং অল্প সময়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ বিচার পাওয়া যায় এই বিষয়টি জিও, এনজিও, গণমাধ্যম কর্মী, মসজিদ, মন্দিরসহ সকল ক্ষেত্রে সবাই প্রচারণা চালালে এটির জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে জনসাধারণ ন্যায়বিচার পেলে সবাই ভাল থাকতে পারব এবং প্রচলিত আদালতের মামলা জট অনেক কমে যাবে। আর আমরা ভাল থাকলে দেশও অনেক ভাল থাকবে।

কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীগণ অংশ নেন।