জামালপুরে হারিয়ে যাওয়া সখের বিড়াল পংকিকে ফিরে পেতে শহর জুড়ে মাইকিং, পোস্টার সাঁটানো, থানায় জিডি ও পুরস্কার ঘোষণা করেছেন বিড়ালটির মালিক আলেয়া আক্তার নীনা। ১১ জুন, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জামালপুর পৌর শহরের বসাকপাড়া রাজিব বাস কাউন্টার থেকে হারিয়ে যায় পংকি। আলেয়া আক্তার নীনা পৌর শহরের পশ্চিম নয়াপাড়া এলাকার রশেদুল ইসলাম রিন্টুর স্ত্রী।
সখের বিড়াল পংকিকে হারানোর পর থেকে শোকে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মালিক আলেয়া আক্তার নীনার পরিবার। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বিড়ালটিকে খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। পোষা বিড়ালের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও খুঁজে পাওয়ার এমন উদ্যোগ জেলা শহর জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, আলেয়া আক্তার নীনা চাকরি করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রায় দেড় বছর আগে ঢাকা থেকে কমলা রঙের পারসিয়ান জাতের একটি বিড়াল কিনেন আলেয়া আক্তার নীনা। বিড়ালটি কিনতে তিনি খরচ করেন ১৫ হাজার টাকা। ১১ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পংকিকে নিয়ে বসাকপাড়া রাজিব বাস কাউন্টারে যান। বাস ছাড়ার আগে যাত্রীদের গাড়িতে উঠার জন্য হর্ন দিলে ভয়ে পংকি খাঁচা থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। পরে রাতেই পংকির মালিক স্থানীয়দের নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হন।
এদিকে পংকির খুঁজে জামালপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। করা হয়েছে মাইকিংও। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পংকির সন্ধান চেয়ে বিভিন্ন পেইজ ও গ্রুপে ছবি-তথ্য পোস্ট করা হয়েছে। সখের বিড়াল পংকির হারানোর তিনদিন পার হলেও কোন সন্ধান না পেয়ে অবশেষে ১৪ জুন, শনিবার জামালপুর সদর থানায় সাধারন ডায়েরি করেছেন বিড়ালটির মালিক শিক্ষিকা আলেয়া আক্তার নীনা।
বিড়ালটির মালিক আলেয়া আক্তার নীনার মেয়ে রাজিয়া ইয়াসমিন নোভা বলেন, পংকি আমাদের সাথেই থাকত। আম্মু ঢাকায় বেড়াতে যাবে তাই বাসায় পংকি যাতে একা না থাকে এজন্য ওকে সঙ্গে নিয়েই আম্মু ঢাকায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাসের হর্নের শব্দে ভয় পেয়ে পংকি পালিয়ে যায়।
পংকির মালিক আলেয়া আক্তার নীনা এ প্রতিবেদককে বলেন, অনেক কস্টে পংকিকে লালন পালন করছি। পংকির সন্ধানের জন্য পোস্টার, মাইকিং এবং থানায় জিডিও করেছি। কোনভাবেই ওর সন্ধান পাচ্ছি না। কেউ পংকিকে খুঁজে পেয়ে দিলে তাকে উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। পংকি হারিয়ে যাওয়ার পর থেকে দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে গেছি।
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আনিছুর আশেকীন এ প্রতিবেদককে বলেন, বিড়ালটির মালিক থানায় জিডি করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বিড়ালটির সন্ধান পেতে মালিককে সহায়তা করা হবে।