ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুর জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত মাহমুদপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে লাইনম্যানের মৃত্যু ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা : বকশীগঞ্জে এনসিপি’র বিক্ষোভ মিছিল ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা : প্রতিবাদে মাদারগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা : জামালপুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল মাদারগঞ্জে সিলিং ফ্যানে ঝুলছিল ব্যবসায়ীর মরদেহ মাদারগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন ক্রীড়াবিদ আউয়ালের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত র‍্যাবের অভিযান : নালিতাবাড়ীতে ২৬০ বোতল ভারতীয় মদ জব্ধ সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ৯-১ গোলে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে

মেলান্দহে অসহায় শুভা আক্তারের রাজকীয় বিয়ে দিলেন সিরাজগঞ্জের পাখিপ্রেমী মামুন বিশ্বাস

মেলান্দহ : বিয়ে পিড়িতে সোনাহার মিয়া ও শুভা আক্তার। নবদম্পতির সামনে বায়ে পাখিপ্রেমী মামুন বিশ্বাস ও ডানে সংগঠক জাকিরুল ইসলাম ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মেলান্দহে পিতা-মাতাহীন অসহায় শুভা আক্তারকে (১৯) রাজকীয় আয়োজন করে বিয়ে দিয়েছেন ‘দ্যা বার্ড সেফটি হাউজে’র চেয়ারম্যান মানবতার ফেরিওয়ালাখ্যাত মামুন বিশ্বাস। ১৩ জুন, শুক্রবার বিকালে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের ভাটিপাড়ার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে সোনাহার মিয়ার (২১) সাথে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়। শুভা আক্তার একই ইউনিয়নের হরিপুর ভাটিপাড়া এলাকার মৃত খোকা শেখ ও মৃত রাশেদা দম্পত্তির একমাত্র মেয়ে। তার বিয়েতে খরচ করা হয় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা।

বিয়ে উপলক্ষে শুভা আক্তারকে বেশ জাকজমকভাবে পার্লারে নিয়ে সাজানো হয়। বিয়েতে সবজি, মুরগির রোস্ট, গরুর মাংস ও দই দিয়ে দুইশ’রও অধিক মানুষকে আপ্যায়ন করা হয়। শুভা আক্তারের সাজানোর জন্য কেনা হয় বিয়ের শাড়ি, হলুদের কাপড়, জুতা ও কসমেটিক্সসহ বিয়ের বিভিন্ন ব্যবাহারের সামগ্রী। সেই সাথে একটি আলমারী, সুকেস, ড্রেসিং টেবিল, আলনা, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার একটি বড় বাক্স ও একটি নতুন সংসার বাঁধতে যা যা প্রয়োজন সবই কিনে দেন মামুন বিশ্বাস ও তার সহযোগীরা।

বিয়ের দাওয়াতে অংশ নেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এর আগে ১২ জুন, বৃহস্পতিবার শুভা আক্তারের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়। অসহায় শুভা আক্তারের এমন আনুষ্ঠানিক বিয়ে দেখতে কয়েক এলাকার মানুষ ভিড় জমান হরিপুর ভাটিপাড়া এলাকায়। শুভা আক্তার ও সোনাহার মিয়ার ব্যতিক্রমী এই বিয়ে এলাকা জুড়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুভা আক্তারের (১৯) জন্মের পাঁচদিন পর মা মারা যায়। কিছু দিন পর শুভার বাবা বিয়ে করেন। তিন মাস পর শুভার বাবাও মারা যায়। তার বাবা মারা যাওয়ার পর সৎ মা শুভাকে ছেড়ে চলে যান। শুভা আক্তারের ঠাঁই হয় দরিদ্র দাদা-দাদির কাছে। এদিকে বাবা মারা যাওয়ার কয়েক বছর পর তার দাদা-দাদিও মারা যান। প্রতিবেশির বাড়িতে কাজ করেদিন পার করেন শুভা আক্তার।

শুভা আক্তারের বিয়ের বয়স হওয়ায় চিন্তায় পড়েন তার প্রতিবেশীরা। শুভার এক জায়গায় বিয়ে ঠিক হলেও সেটি টাকার অভাবে ভেঙ্গে যায়। তার বিয়ের বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী জাহানারা বেগম নামে এক নারী পাশ্ববর্তী চাড়াইলদার এলাকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক জাকিরুল ইসলামের সাথে কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক জাকিরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের মানবতার ফেরিওয়ালাখ্যাত মামুন বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি শুভার জন্য পাত্র দেখতে বলেন। এদিকে জাহানারা বেগম শুভা আক্তারের জন্য হরিপুর উত্তরপাড়ার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মুদি দোকানদার সোনাহারের সাথে বিয়ে ঠিক করেন। দুই বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সোনাহার সবার ছোট।

বিয়ের জন্য ১৩ জুন হরিপুর ভাটিপাড়া এলাকার স্থানীয় লালমিয়ার বাড়ীতে সাজানো হয় ডেকোরেশনের সামিয়ানা, চেয়ার, টেবিল ও বর আসন। পাশেই চলতে থাকে মেহমানদের জন্য খাবারের আয়োজন। ১৩ জুন জুমা’র নামাজের পর মোটরসাইকেল দিয়ে পাত্রবেশে উপস্থিত হন সোনাহার মিয়া। একদিকে পাত্রকে আংটি দিয়ে নামানো হয় পাত্র সোনাহার মিয়াকে। অন্যদিকে পাত্রী শুভাকে নিয়ে প্রতিবেশীদের কণ্ঠে গীতের সুর সব মিলিয়ে এক রাজকীয় বিয়ের পরিবশে সৃষ্টি হয়। পরে মামুন বিশ্বাস ও জাকিরুল ইসলামসহ গ্রামের গণমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে ১৩ জুন সন্ধ্যায় এক লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের জিনিসপত্র, নগদ অর্থসহ শুভাকে সোনাহার মিয়ার হাতে তুলে দেন।

এমন রাজকীয় বিয়ে হওয়ায় আনন্দিত হয়ে শুভা আক্তার বলেন, আমি কোনদিন চিন্তাও করি নাই এত বড় আয়োজনে আমার বিয়ে হবে। যারা বিয়ের জন্য কষ্ট করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

সোনাহার মিয়া বলেন, এতিম বলে কোন কথা না। মেয়েটা যদি ভাল হয় তাহলেই সব ভাল। দাম্পত্য জীবনে সকলের কছে দোয়া প্রত্যাশা করেন তিনি।

জাহানারা বেগম বলেন, শুভার জন্মেরই পর তার মা মারা যান। তার তিন মাস পরেই তার বাবাও মারা যান। শুভার বয়স হওয়ায় বিয়ের জন্য ভাতিজা জাকিরুলকে জানাই। পরে জাকিরুল মামুন বিশ্বাসকে জানালে শুভার বিয়ের আয়োজন করে। আজকে শুভার বিয়ের হওয়ায় আমরা খুব খুশি।

স্বেচ্ছাসেবক জাকিরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, শুরুতে হরিপুরের জাহানারা চাচীর মাধ্যমে শুভার বিষয়টি জানতে পেরে মামুন বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করি। মামুন বিশ্বাস ও স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞাতা জানাই। সেই সাথে মামুন বিশ্বাস যেমন সিরাজগঞ্জ থেকে জামালপুরে এসে বিয়ের আয়োজন করেছে। প্রতিটি এলাকায় যেন একটি করে মামুন বিশ্বাস তৈরি হয়। যাতে অন্য এলাকা থেকে মামুন বিশ্বাসকে এনে বিয়ে না দিতে হয়।

মামুন বিশ্বাস এ প্রতিবেদককে বলেন, এর আগেও শুভার বিয়ে ঠিক হয় কিন্ত টাকার অভাবে ভেঙ্গে যায়। পরে শুভার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করি। ফেসবুকের পোস্ট দেখে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনেক মানুষ সর্বমোট এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা পাঠায়। সেই টাকা দিয়ে শুভার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী অনেক সহায়তা করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুভার মতো যে সব বোন আছে, যাদের অর্থের অভাবে বিয়ে হচ্ছে না আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই।

নাংলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন কিসমত পাশা এ প্রতিবেদককে জানান, একটা অসহায় এতিম পরিবারের ভিতরে বিবাহ বন্ধন করে তাদের পরিবার স্বচ্ছল করার জন্য এত বড় একটা উদ্যোগ ও অনুষ্ঠান আমার জীবনে খুব কম দেখেছি। কয়েক বছর ধরে উনারা (মামুন বিশ্বাস) বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা যেন ভবিষ্যতে এরকম আরও ভাল কাজ করে যেতে পারেন। তাদের সফলতা কামনা করছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুর জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

মেলান্দহে অসহায় শুভা আক্তারের রাজকীয় বিয়ে দিলেন সিরাজগঞ্জের পাখিপ্রেমী মামুন বিশ্বাস

আপডেট সময় ১১:৪০:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

জামালপুরের মেলান্দহে পিতা-মাতাহীন অসহায় শুভা আক্তারকে (১৯) রাজকীয় আয়োজন করে বিয়ে দিয়েছেন ‘দ্যা বার্ড সেফটি হাউজে’র চেয়ারম্যান মানবতার ফেরিওয়ালাখ্যাত মামুন বিশ্বাস। ১৩ জুন, শুক্রবার বিকালে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের ভাটিপাড়ার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে সোনাহার মিয়ার (২১) সাথে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়। শুভা আক্তার একই ইউনিয়নের হরিপুর ভাটিপাড়া এলাকার মৃত খোকা শেখ ও মৃত রাশেদা দম্পত্তির একমাত্র মেয়ে। তার বিয়েতে খরচ করা হয় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা।

বিয়ে উপলক্ষে শুভা আক্তারকে বেশ জাকজমকভাবে পার্লারে নিয়ে সাজানো হয়। বিয়েতে সবজি, মুরগির রোস্ট, গরুর মাংস ও দই দিয়ে দুইশ’রও অধিক মানুষকে আপ্যায়ন করা হয়। শুভা আক্তারের সাজানোর জন্য কেনা হয় বিয়ের শাড়ি, হলুদের কাপড়, জুতা ও কসমেটিক্সসহ বিয়ের বিভিন্ন ব্যবাহারের সামগ্রী। সেই সাথে একটি আলমারী, সুকেস, ড্রেসিং টেবিল, আলনা, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার একটি বড় বাক্স ও একটি নতুন সংসার বাঁধতে যা যা প্রয়োজন সবই কিনে দেন মামুন বিশ্বাস ও তার সহযোগীরা।

বিয়ের দাওয়াতে অংশ নেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এর আগে ১২ জুন, বৃহস্পতিবার শুভা আক্তারের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়। অসহায় শুভা আক্তারের এমন আনুষ্ঠানিক বিয়ে দেখতে কয়েক এলাকার মানুষ ভিড় জমান হরিপুর ভাটিপাড়া এলাকায়। শুভা আক্তার ও সোনাহার মিয়ার ব্যতিক্রমী এই বিয়ে এলাকা জুড়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুভা আক্তারের (১৯) জন্মের পাঁচদিন পর মা মারা যায়। কিছু দিন পর শুভার বাবা বিয়ে করেন। তিন মাস পর শুভার বাবাও মারা যায়। তার বাবা মারা যাওয়ার পর সৎ মা শুভাকে ছেড়ে চলে যান। শুভা আক্তারের ঠাঁই হয় দরিদ্র দাদা-দাদির কাছে। এদিকে বাবা মারা যাওয়ার কয়েক বছর পর তার দাদা-দাদিও মারা যান। প্রতিবেশির বাড়িতে কাজ করেদিন পার করেন শুভা আক্তার।

শুভা আক্তারের বিয়ের বয়স হওয়ায় চিন্তায় পড়েন তার প্রতিবেশীরা। শুভার এক জায়গায় বিয়ে ঠিক হলেও সেটি টাকার অভাবে ভেঙ্গে যায়। তার বিয়ের বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী জাহানারা বেগম নামে এক নারী পাশ্ববর্তী চাড়াইলদার এলাকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক জাকিরুল ইসলামের সাথে কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক জাকিরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের মানবতার ফেরিওয়ালাখ্যাত মামুন বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি শুভার জন্য পাত্র দেখতে বলেন। এদিকে জাহানারা বেগম শুভা আক্তারের জন্য হরিপুর উত্তরপাড়ার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মুদি দোকানদার সোনাহারের সাথে বিয়ে ঠিক করেন। দুই বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সোনাহার সবার ছোট।

বিয়ের জন্য ১৩ জুন হরিপুর ভাটিপাড়া এলাকার স্থানীয় লালমিয়ার বাড়ীতে সাজানো হয় ডেকোরেশনের সামিয়ানা, চেয়ার, টেবিল ও বর আসন। পাশেই চলতে থাকে মেহমানদের জন্য খাবারের আয়োজন। ১৩ জুন জুমা’র নামাজের পর মোটরসাইকেল দিয়ে পাত্রবেশে উপস্থিত হন সোনাহার মিয়া। একদিকে পাত্রকে আংটি দিয়ে নামানো হয় পাত্র সোনাহার মিয়াকে। অন্যদিকে পাত্রী শুভাকে নিয়ে প্রতিবেশীদের কণ্ঠে গীতের সুর সব মিলিয়ে এক রাজকীয় বিয়ের পরিবশে সৃষ্টি হয়। পরে মামুন বিশ্বাস ও জাকিরুল ইসলামসহ গ্রামের গণমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে ১৩ জুন সন্ধ্যায় এক লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের জিনিসপত্র, নগদ অর্থসহ শুভাকে সোনাহার মিয়ার হাতে তুলে দেন।

এমন রাজকীয় বিয়ে হওয়ায় আনন্দিত হয়ে শুভা আক্তার বলেন, আমি কোনদিন চিন্তাও করি নাই এত বড় আয়োজনে আমার বিয়ে হবে। যারা বিয়ের জন্য কষ্ট করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

সোনাহার মিয়া বলেন, এতিম বলে কোন কথা না। মেয়েটা যদি ভাল হয় তাহলেই সব ভাল। দাম্পত্য জীবনে সকলের কছে দোয়া প্রত্যাশা করেন তিনি।

জাহানারা বেগম বলেন, শুভার জন্মেরই পর তার মা মারা যান। তার তিন মাস পরেই তার বাবাও মারা যান। শুভার বয়স হওয়ায় বিয়ের জন্য ভাতিজা জাকিরুলকে জানাই। পরে জাকিরুল মামুন বিশ্বাসকে জানালে শুভার বিয়ের আয়োজন করে। আজকে শুভার বিয়ের হওয়ায় আমরা খুব খুশি।

স্বেচ্ছাসেবক জাকিরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, শুরুতে হরিপুরের জাহানারা চাচীর মাধ্যমে শুভার বিষয়টি জানতে পেরে মামুন বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করি। মামুন বিশ্বাস ও স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞাতা জানাই। সেই সাথে মামুন বিশ্বাস যেমন সিরাজগঞ্জ থেকে জামালপুরে এসে বিয়ের আয়োজন করেছে। প্রতিটি এলাকায় যেন একটি করে মামুন বিশ্বাস তৈরি হয়। যাতে অন্য এলাকা থেকে মামুন বিশ্বাসকে এনে বিয়ে না দিতে হয়।

মামুন বিশ্বাস এ প্রতিবেদককে বলেন, এর আগেও শুভার বিয়ে ঠিক হয় কিন্ত টাকার অভাবে ভেঙ্গে যায়। পরে শুভার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করি। ফেসবুকের পোস্ট দেখে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনেক মানুষ সর্বমোট এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা পাঠায়। সেই টাকা দিয়ে শুভার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী অনেক সহায়তা করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুভার মতো যে সব বোন আছে, যাদের অর্থের অভাবে বিয়ে হচ্ছে না আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই।

নাংলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন কিসমত পাশা এ প্রতিবেদককে জানান, একটা অসহায় এতিম পরিবারের ভিতরে বিবাহ বন্ধন করে তাদের পরিবার স্বচ্ছল করার জন্য এত বড় একটা উদ্যোগ ও অনুষ্ঠান আমার জীবনে খুব কম দেখেছি। কয়েক বছর ধরে উনারা (মামুন বিশ্বাস) বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা যেন ভবিষ্যতে এরকম আরও ভাল কাজ করে যেতে পারেন। তাদের সফলতা কামনা করছি।