জামালপুরের বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক, জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সদস্য, হ্যাণ্ডবল প্রশিক্ষক মো. আক্তারুজ্জামান আউয়াল আর আমাদের মাঝে নেই। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ার মো. বদিউজ্জামানের ছেলে আক্তারুজ্জামান আউয়াল স্ত্রী ও তিন ছেলে এবং এক মেয়ে সন্তানসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
১৩ জুন, শুক্রবার বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম স্টেডিয়ামে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ খেলার সময় তিনি স্ট্রোক করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ১৪ জুন, শনিবার বেলা ১১টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম স্টেডিয়ামে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজ শেষে তাকে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজা নামাজের আগে প্রয়াত আক্তারুজ্জামান আউয়ালের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্য উপ-মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন প্রমুখ।
তার জানাজা নামাজ পড়ান দেওয়ানপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. জয়নাল আবেদীন। জানাজা নামাজে জামালপুর জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠক, খেলোয়ারসহ নানা শ্রেণি ও পেশার বিপুল সংখ্যক মুসল্লি ও শোভাকাঙ্ক্ষীরা অংশ নেন।
উল্লেখ, আক্তারুজ্জামান আউয়াল ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ। অ্যাথলেট, হ্যান্ডবল, ভলিবল, কাবাডি, ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টনসহ সবকিছুতেই তার পারদর্শিতা ছিল রীতিমত ঈর্ষণীয়। তিনি একজন সফল খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। এছাড়া একজন সফল কোচ, রেফারি এবং টিম ম্যানেজার ছিলেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়। খেলাধুলাই ছিল তার ধ্যান ও জ্ঞান। তিনি এক সময় বিডিআরে (বিজিবি) চাকরি করলেও সেই বাঁধাধরা কাজ তার ভাল না লাগায় তিনি চাকরি ছেড়ে চলে আসেন। এরপর নানান পেশায় যুক্ত হলেও ছাড়তে পারেননি খেলার মাঠকে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।