ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যৌথবাহিনীর অভিযান

সরিষাবাড়ীতে বালু উত্তোলনের অপরাধে ড্রেজার মালিকসহ ৭ জনের কারাদণ্ড

সরিষাবাড়ী : ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির অপরাধে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ড্রেজার মালিকসহ পাঁচ জনকে একমাস করে এবং দু’জনকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাতটি অবৈধ ড্রেজার মেশিন ও দুটি বোলগেটসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ ধ্বংস করা হয়।

২২ মে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত লে. শাহারিয়া তালুকদার রিফাত ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) লিজা রিছিলের নেতৃত্বে পিংনা ইউনিয়নের পিংনা ও বাসুরিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

যৌথবাহিনী সূত্র জানায়, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের আব্দুর রশীদ ও সাইফুল মাস্টারের মালিকানায় পিংনা এলাকায় অবৈধভাবে নদীর বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রি চলছিল। স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী অভিযান চালালে তারা পালিয়ে যান। তবে তাদের অপর মালিক (অংশীদার) টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার ভালোকুটিয়া গ্রামের শহর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামসহ সাতজনকে আটক করা হয়।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হলে অনাদায়ে রফিকুল ইসলামসহ পাঁচজনকে একমাস করে এবং ও দু’জনকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

সরিষাবাড়ী : ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- একই গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুল মালেক, জহিরুল ইসলামের ছেলে সানি সরকার, কোনদুনিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মণ্ডলের ছেলে সাইদ মণ্ডল, বগুড়ার ধনুট উপজেলার সোহরাবাড়ি গ্রামের আবুল বেলালের ছেলে নাজমুল ইসলাম, শহিদুল ইসলামের ছেলে লিমন সরকার ও মো. জুয়েলের ছেলে মো. সোহাগ।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিজা রিছিল এ প্রতিবেদককে বলেন, আটক ব্যক্তিদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার আবু হাসনাত করোনায় আক্রান্ত

যৌথবাহিনীর অভিযান

সরিষাবাড়ীতে বালু উত্তোলনের অপরাধে ড্রেজার মালিকসহ ৭ জনের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৮:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির অপরাধে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ড্রেজার মালিকসহ পাঁচ জনকে একমাস করে এবং দু’জনকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাতটি অবৈধ ড্রেজার মেশিন ও দুটি বোলগেটসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ ধ্বংস করা হয়।

২২ মে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত লে. শাহারিয়া তালুকদার রিফাত ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) লিজা রিছিলের নেতৃত্বে পিংনা ইউনিয়নের পিংনা ও বাসুরিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

যৌথবাহিনী সূত্র জানায়, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের আব্দুর রশীদ ও সাইফুল মাস্টারের মালিকানায় পিংনা এলাকায় অবৈধভাবে নদীর বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রি চলছিল। স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী অভিযান চালালে তারা পালিয়ে যান। তবে তাদের অপর মালিক (অংশীদার) টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার ভালোকুটিয়া গ্রামের শহর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামসহ সাতজনকে আটক করা হয়।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হলে অনাদায়ে রফিকুল ইসলামসহ পাঁচজনকে একমাস করে এবং ও দু’জনকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

সরিষাবাড়ী : ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- একই গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুল মালেক, জহিরুল ইসলামের ছেলে সানি সরকার, কোনদুনিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মণ্ডলের ছেলে সাইদ মণ্ডল, বগুড়ার ধনুট উপজেলার সোহরাবাড়ি গ্রামের আবুল বেলালের ছেলে নাজমুল ইসলাম, শহিদুল ইসলামের ছেলে লিমন সরকার ও মো. জুয়েলের ছেলে মো. সোহাগ।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিজা রিছিল এ প্রতিবেদককে বলেন, আটক ব্যক্তিদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।