প্রাণ প্রকৃতির শিক্ষা লাভ করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশের প্রথম জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় প্রাণ প্রকৃতি শিক্ষা বিষয়ক স্কুল নিসর্গপাঠের যাত্রা শুরু। ২২ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বৃক্ষ প্রেমিক দম্পতির তানজিম পল্লীতে এ নিসর্গপাঠ উদ্বোধন করা হয়।
প্রাণ প্রকৃতির শিক্ষা লাভে নিসর্গপাঠ স্কুলটির উদ্বোধর করেন বৃক্ষ প্রেমিক ও মানবাধিকারকর্মী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তানজিম পল্লী ও নিসর্গপাঠ স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা সহকারী অধ্যাপক মো. হাসমত আলী। এ সময় মেলান্দহ ঝা্উগড়া মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘরের পরিচালক উৎপল কান্তি ধর, ঝা্উগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হিল্লোল সরকার, অধ্যাপক এন এম মীজানুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আফরোজা বুলবুল, প্রধান শিক্ষক সুলতানা তাহমিনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, প্রকৃতি বেঁচে থাকলে বেঁচে থাকব আমরা। প্রকৃতি পরিবেশ সুন্দর না হলে মানুষের মনও সুন্দর হয় না। হাসমত আলী গড়েছেন প্রায় ৬০০ প্রজাতির উদ্ভিদের এক উদ্ভিদ উদ্যান। যেখানে দেশীয় দুর্লভ উদ্ভিদ অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই নিসর্গপাঠে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দিনে এই উদ্যানে এসে সরাসরি জীবন্ত উদ্ভিদ দেখার মাধ্যমে তাদেরকে গাছের উপকারিতা সম্পর্কে হাতে কলমে শিক্ষা নিতে পারবে। ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে বৃক্ষ তথা পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠে সেই প্রত্যাশা নিয়েই এই নিসর্গপাঠ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান বক্তারা।
উল্লেখ, এ উদ্যানে সংরক্ষিত দুর্লভ উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে, কানাইডিঙ্গা, বৈলাম, উরিআম, কুরচি, কন্যারি, মাইলাম, চালমুগরা, বাঁশপাতা, ডাকরুম, তাসবি, কেয়ামন, তুন, শিলবাটনা, গুটগুটিয়া, ট্রাম্পেট, কামদেব, রিটা, চিকরাশি, নাগালিঙ্গম, বাওবাব, কর্পূর, উদাল, কুম্ভি, ঢাকিজাম, তানপুরা, সিভিট, হিজল, তমাল, চাপালিশ, হলদু, আগর, শ্বেতচন্দন, রক্তচন্দন, বইট্টা গর্জন, কাইজেলিয়া, মহুয়া, জহুরী চাঁপা, কুসুম চাঁপা, সুলতান চাঁপা, কাঠালি চাঁপা, স্বর্ণ চাঁপা, নাগেশ্বর চাঁপাসহ চেনা এবং অসংখ্য বিরল গাছ।
সরিষাবাড়ী : বৃক্ষ প্রেমিক ও মানবাধিকারকর্মী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম