শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে বন্য হাতির আক্রমণে সিএনজি চালকসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০ মে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের দরবেশতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দু’জন হলেন মো. আজিজুর রহমান আকাশ (৪০)। তিনি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্ধীগাঁও এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে। অপরজন একই ইউনিয়নের গজনী এলাকার সহেন সিমসাংয়ের ছেলে এফিলিস হাগিদক (৪৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০ মে রাত ৯টার দিকে সীমান্তবর্তী এলাকায় ২০-৩০টি হাতির একটি দল ধানখেতে নেমে আসে। ফসল রক্ষায় এলাকার মানুষ হাতি তাড়াতে লাঠি নিয়ে ধাওয়া করেন। এ সময় আজিজুর রহমান আকাশ হাতির খুব কাছাকাছি চলে যান। ওই সময় একটি হাতি তাকে ধাওয়া দিয়ে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পদপিষ্ট করে। পরে লোকজন ধাওয়া দিলে হাতির দল সরে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় আজিজুর রহমান আকাশকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা হাসপাতলে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিএনজি চালানো শেষে বাড়ি ফেরার পথে বনের ভেতরের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা হাতির পালের সামনে পড়ে এফিলিস হাগিদক ও তাঁর সাথে থাকা তিন পথচারী। এ সময় হাতি তাড়া করলে ওই তিনজন দৌড়ে পালাতে পারলেও শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় দেয় এফিলিস হাগিদককে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমীন এ প্রতিবেদককে বলেন, রাতে গজনী ও গান্ধিগাঁও এলাকায় হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাংটিয়া রেঞ্জের বন কর্মকর্তা আব্দুল করিম এ প্রতিবেদককে বলেন, হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বন বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করলে মৃতের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তিনি বন বিভাগের পক্ষ থেকে এ সময়ে সন্ধ্যার পড়ে বনের রাস্তা দিয়ে জনসাধারণকে সাবধানতা অবলম্বন করে চলাচল করার অনুরোধ জানিয়েছেন।