জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে চার শতাধিক বাড়িঘর লণ্ডভণ্ডহয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ১৭ মে শনিবার রাতে এই ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়।
জানা গেছে, ১৭ মে রাতে ইসলামপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে সাপধরী ইউনিয়নের চার শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাশারীডোবা গ্রামেই শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বহু ঘরের চাল উড়ে গেছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে। কাশারীডোবা স্কুলঘর, আমতলী মসজিদসহ প্রজাপতি, চরশিশুয়া, দক্ষিণ শিশুয়া, মন্ডল পাড়া, চেঙ্গানিয়া, আকন্দপাড়া, কোদালধোয়া, কটাপুর, জোড়ডোবা ও নামারচর গ্রামের অন্তত: চার শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে।

এছাড়াও বেলগাছা ইউনিয়নের মন্নিয়ার চর, চর বরুল, সিন্দুরতলী, শিলদহ এলাকার মানুষ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চর পুটিমারী, চর গোয়ালিনী, চিনাডুলী, ইসলামপুর সদর, পলবান্ধা ও পৌর এলাকার কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি শত শত গাছপালা দুমড়ে মুচড়ে গেছে। এতে এলাকায় সকল শ্রেণিপেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম মন্ডল এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে চার শতাধিক বাড়িঘর, অসংখ্য গাছপালা ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে। বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান ক্ষতিগগ্রস্ত এলাকা ও পরিবারদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।