জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় কৃষকদলের এক নেতার বিরুদ্ধে অন্যের বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, মারধর ও জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। ১৭ মে শনিবার দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখনে, মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা পশ্চিমপাড়ার ভুক্তভোগী বাদল প্রামাণিক ও তার স্ত্রী চামেলী বেগম৷
তাদের অভিযোগ, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ২০ শতাংশ জমিতে তারা দীর্ঘদিন ধরে আধাপাকা বসতঘর নির্মাণের পর সেখানে বসবাস করে আসছেন। ১৬ মে শুক্রবার ভোররাতে ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আধাপাকা দুটি থাকার ঘর ও রান্না ঘর ভেকু দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় তারা। ঘরে থাকা মালামাল, স্বর্ণালংকার ও নগদ চার লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এরপর মারধর করে পরিবারটিকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী চামেলী বেগম বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে গার্মেন্টসে চাকরি করে বাড়ি করেছিলাম৷ ভোররাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের নির্যাতন করে সব নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছি। থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ আসে। প্রথমে মনে হয় আমাদের সহযোগিতা করছে। পরে দেখলাম আমাদের সহযোগিতা করে নাই। হামলাকারীদের সহযোগিতা করেছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে গুণারীতলা ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক না। তার নিজের জমিতে নিজের বসতবাড়িতেই ঢুকেছেন বলে দাবি করেন তিনি।