জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের মেলান্দহ উপজেলার কাঙ্গালকুর্শা এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেলআরোহী আব্দুল আজিজ (৫৫) নিহত হয়েছেন। ০৯ মে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল আজিজ উপজেলার চরপুটিমারি আগরাখালি এলাকার জন্তি শেখের ছেলে।
এ দুর্ঘটনায় নিহত আব্দুল আজিজের ছেলে মোটরসাইকেলচালক আলী হোসেন (৩৫) ও আলী হোসেনের মেয়ে আলেয়া আক্তার (৯) গুরুতর আহত হন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলী হোসেন তার বাবা আব্দুল আজিজ ও মেয়ে আলেয়া আক্তারকে নিয়ে মোটরসাইকেলে মেলান্দহ বাজরে যাচ্ছিলেন। জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের মেলান্দহ কাঙ্গালকুর্শা এলাকায় পৌঁছলে পেছন দিক থেকে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট- ১৫-৭৯০২) মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলআরোহী আব্দুল আজিজ পড়ে গিয়ে ওই ট্রাকের ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পরে মোটরসাইকেলচালক আলী হোসেন ও তার মেয়ে আলেয়া আক্তারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে নিহত আব্দুল আজিজের মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় ঘাতক ট্রাকটি রেখে চালক কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ট্রাকটি জব্দ করে মেলান্দহ থানা পুলিশ। দুর্ঘটনার ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় দুই ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে।
নিহত আব্দুল আজিজের ছোট ছেলে শামীম আহমেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, সন্ধ্যার দিকে আমার বাবা, বড় ভাই ও ভাতিজি মেলান্দহ বাজারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। একটি অপরিচিত নম্বর থেকে আমাকে কল দিয়ে জানান, আমার বাবা ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছে। পরে এখানে এসে দেখি আমার বাবার লাশ পড়ে আছে। শুনেছি ভাই ও ভাতিজিকে হাসপাতলে নিয়ে গেছে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আব্দুল আজিজ নামে একজন নিহত ও আরও দু’জন আহত হয়েছেন। ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।