জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় দশানী নদীতে বাঁধ অপসারণকে কেন্দ্র করে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। বাঁধ অপসারণে বাধা দেওয়ায় দুই ব্যক্তিকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা এই দণ্ডাদেশ দেন। ১ মে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চর আইরমারী গ্রামের সোনার উদ্দিনের ছেলে রহমত আলী ও মৃত হাসেন আলীর ছেলে ইউসুফ আলী। এদিকে বাঁধ অপসারণের পক্ষে বিপক্ষে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি দশানী নদীর ভাঙন রোধে বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের খাপড়াপাড়া এলাকায় নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে বাঁধ নির্মাণ করেন খাপড়াপাড়া এলাকাবাসী৷ এই বাঁধ দেখে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চরআইরমারী গ্রামে পাল্টা বাঁধ নির্মাণ করেন চরআইরমারী গ্রামের মানুষ। ফলে উজানের ২০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চলের আধাপাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়। এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
১ মে বিকালে বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে বাঁধ নির্মাণকারী দুই গ্রামবাসীর সঙ্গে বাঁধ অপসারণ নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে বাঁধ দুটি অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। পরে বিকাল ৫টার দিকে চরআইরমারী গ্রামে বাঁধ অপসারণে বকশীগঞ্জের ইউএনও মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে যান উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ। অভিযানের সময় চরআইরমারী গ্রামের মানুষ বাঁধ নির্মাণে বাধা দেন। এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে গ্রামবাসীর বাকবিতণ্ডা হয়।
অপরদিকে বাঁধ অপসারণ করতে স্লোগান দেওয়ায় চরআইরমারী গ্রামবাসীর সঙ্গে শেখপাড়া গ্রামের মানুষের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বাঁধ অপসারণে বাধা দেওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে রহমত আলী ও ইউসুফ আলীকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ওই এলাকায়।
বকশীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা এ প্রতিবেদককে বলেন, বাঁধ অপসারণ করতে গেলে চর আইরমারী গ্রামবাসী বাধা দেন। এতে করে বাঁধটি অপসারণ করা যায়নি। তবে বাধা দেওয়ায় দু’জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।