ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সরিষাবাড়ীতে ১৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার বিএনপি সংস্কার চায় না, জল ঘোলা করতেই এমন অভিযোগ : আমীর খসরু প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ারের সাক্ষাৎ অপপ্রচারের প্রতিবাদে মাদারগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলন বিএফডিসির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে: মাহফুজ আলম পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা দোহা থেকে সরাসরি রোমে যাবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তৎপরতায় রোহিঙ্গা সংকট বৈশ্বিক আলোচনায় ফিরেছে : প্রেস সচিব ইস্তাম্বুলের উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত কাশ্মীরে হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ ইরানের আছে ‘অতি গোপনীয়’ এআই সক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র : ইরানি জেনারেল

হাটচন্দ্রায় ছেলের হাতে মা খুন

জামালপুর : নিহত মনজিলা বেগম জিরার মরদেহ দেখতে স্বজন ও প্রতিবেশীদের ভিড়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বাড়ির উঠানে থাকা গাছ বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাকু ও বটি দা দিয়ে সবার সামনেই মা মনজিলা বেগম জিরাকে (৬৫) খুন করেছেন ছেলে মো. মনজু। ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জামালপুর পৌরসভার হাটচন্দ্রা রেলঘুন্টি এলাকায় এই খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত মনজিলা বেগম স্থানীয় মো. কামরুল ইসলাম কামুর তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী।

হামলাকারী মো. মনজুর হামলায় গুরুতর আহত গাছবেপারি শেখ ফরিদকে (৪৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মো. মনজু (৪০) পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী ছেলে মো. মনজু হলেন মনজিলা বেগম জিরার প্রথম স্বামী ইসলামপুর উপজেলার তোতা মিয়ার ঔরশজাত সন্তান। ৩০ বছর আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। এছাড়া ওই ছেলের হামলায় আহত গাছবেপারির নাম শেখ ফরিদ । তার বাড়ি মেলান্দহ উপজেলার ঝিনাই সেতু এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টাকার অভাবে বাড়ির উঠানে থাকা লম্বু নামের একটি গাছ বিক্রি করেন মনজিলা বেগম। ১৫ এপ্রিল সকালে গাছক্রেতা শেখ ফরিদ ওই গাছটি কেটে নিতে আসেন। এ সময় মনজু গাছ কাটতে বাঁধা দিলে গাছবেপারির সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে ওই গাছ বেপারির পেটে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন মনজু। গাছবেপারিকে উদ্ধার করতে তার মা মনজিলা বেগম জিরা এগিয়ে এলে তাকেও চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে এবং বটি দা দিয়ে গলায় জবাইয়ের মতো আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই খুন হন তিনি।

এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে হামলাকারী মনজু পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় গাছবেপারি শেখ ফরিদকে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।

এ বিষয়ে জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া খান মামুন এ প্রতিবেদককে বলেন, নিহত মনজিলা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে জামালপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রকাশ্যে লোকজনের সামনে নিজের মাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছেলে মো. মনজুকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সরিষাবাড়ীতে ১৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

হাটচন্দ্রায় ছেলের হাতে মা খুন

আপডেট সময় ০৬:১৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

বাড়ির উঠানে থাকা গাছ বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাকু ও বটি দা দিয়ে সবার সামনেই মা মনজিলা বেগম জিরাকে (৬৫) খুন করেছেন ছেলে মো. মনজু। ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জামালপুর পৌরসভার হাটচন্দ্রা রেলঘুন্টি এলাকায় এই খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত মনজিলা বেগম স্থানীয় মো. কামরুল ইসলাম কামুর তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী।

হামলাকারী মো. মনজুর হামলায় গুরুতর আহত গাছবেপারি শেখ ফরিদকে (৪৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মো. মনজু (৪০) পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী ছেলে মো. মনজু হলেন মনজিলা বেগম জিরার প্রথম স্বামী ইসলামপুর উপজেলার তোতা মিয়ার ঔরশজাত সন্তান। ৩০ বছর আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। এছাড়া ওই ছেলের হামলায় আহত গাছবেপারির নাম শেখ ফরিদ । তার বাড়ি মেলান্দহ উপজেলার ঝিনাই সেতু এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টাকার অভাবে বাড়ির উঠানে থাকা লম্বু নামের একটি গাছ বিক্রি করেন মনজিলা বেগম। ১৫ এপ্রিল সকালে গাছক্রেতা শেখ ফরিদ ওই গাছটি কেটে নিতে আসেন। এ সময় মনজু গাছ কাটতে বাঁধা দিলে গাছবেপারির সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে ওই গাছ বেপারির পেটে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন মনজু। গাছবেপারিকে উদ্ধার করতে তার মা মনজিলা বেগম জিরা এগিয়ে এলে তাকেও চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে এবং বটি দা দিয়ে গলায় জবাইয়ের মতো আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই খুন হন তিনি।

এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে হামলাকারী মনজু পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় গাছবেপারি শেখ ফরিদকে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।

এ বিষয়ে জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া খান মামুন এ প্রতিবেদককে বলেন, নিহত মনজিলা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে জামালপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রকাশ্যে লোকজনের সামনে নিজের মাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছেলে মো. মনজুকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।