জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সাবেক ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন রাজাসহ তিনজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী ও সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ। ১৪ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাত থেকে ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইউনিট ২৬ বীর সরিষাবাড়ী অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট শাহরিয়ার তালুকদার রিফাত ও তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে দুটি দল অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কিশোর গ্যাংয়ের হোতা, শীর্ষ সন্ত্রাসী, সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবলীগনেতা মোবারক হোসেন রাজা, মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নাজির ও তার সহযোগী মোহাম্মদ ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইউনিট ২৬ বীর সরিষাবাড়ী অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট শাহরিয়ার তালুকদার রিফাত সাংবাদিকদের জানান, ১৫ এপ্রিল ভোররাত পর্যন্ত আওনা ইউনিয়নের পাখিমারা এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পৃথক দুটি অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় নয়টি বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ ১৫টি ইয়াবা বড়ি, পাঁচ গ্রাম গাঁজা, সাতটি মোবাইল ফোনসেট, মাদক বেচাকেনার ছয় হাজার ৫৫৭ টাকা, গ্যাস লাইট, মাদক সেবন ও কেনাবেচার বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধে জনগণকে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার কথা জানান তিনি।
জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিতর্কিত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসানের ছত্রছায়ায় আওনা ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার করেন মোবারক হোসেন রাজা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদ বাগিয়ে নেন তিনি। এরপর থেকেই অপরাধের এক অভয়ারণ্য ব্যবহার করে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রক হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন মোবারক হোসেন রাজা।তিনি হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন মামলার আসামি।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, পৃথক দুটি অভিযানে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ১৫ এপ্রিল বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।