ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’ বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র পুরো সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার : জয়নুল আবদীন ফারুক পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৬০ বছরের ইতিহাসে পুলিশ এত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি : পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম হাটচন্দ্রায় মাকে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার ইসলামপুরে এক মাদরাসা শিক্ষক বহিষ্কার গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমানো হয়েছে : রিজওয়ানা ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চান নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না গাজা উপত্যকায় গত দিনে ইসরাইলি হামলায় ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত

মিনহাজ উদ্দিন শপথের ‘হাইকু ক্যানভাস’ : কিছু কথা

মিনহাজ উদ্দিন শপথ (জন্ম ১০ই আগস্ট ১৯৭৫) মূলত কবি। পেশায় তিনি শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। আবৃত্তিতেও তিনি যুক্ত। জামালপুর ‘কবিতীর্থ’ সাহিত্য সংগঠনে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার হাত ধরে অনেকে আবৃত্তিতে এসেছেন। তিনি জাতীয় কবিতা পরিষদ, জামালপুর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শিল্প সাহিত্যবিষয়ক পত্রিকা ‘আর্ট পেপার’ এর নির্বাহী সম্পাদক। ‘কী রকম অন্ধকার যেন’ (২০০৯) ‘ত্রয়িকা’ (হাইকু) (২০১১) এবং ‘হাইকু ক্যানভাস’ (২০২৪) নামে তার ৩টি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। তার আগ্রহের অন্যতম বিষয় কবিতা, সাহিত্য সংগঠন ও পত্রিকায় যুক্ত থাকা ও শিক্ষকতা প্রভৃতি।

২০২৪ সালে প্রকাশিত কবি মিনহাজ উদ্দিন শপথের জাপানি ফর্মের কবিতা ‘হাইকু ক্যানভাস’ গ্রন্থে দুইশটি হাইকু রয়েছে। আধুনিক বাংলা ভাষায় হাইকু কবিতা লেখার চর্চা বেশ লক্ষণীয়। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম আঙ্গিকের জনপ্রিয় এই কবিতার উৎপত্তি জাপানে। বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের সঙ্গে হাইকুর পরিচয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে।

হাইকুর সঙ্গে আমার পরিচয় হয় ২০১৪ সালে। কাজী নজরুলের লেখার পাঠ নিতে গিয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ সুরেন্দ্রনাথ মৈত্র (১৮৭৭-১৯৪৪) সম্বন্ধে অবহিত হই। তার ‘জাপানী ঝিনুক’ নামের গ্রন্থে হাইকুর রচনা রয়েছে। বাংলা ভাষায় রবীন্দ্রনাথের পর সুরেন্দ্রনাথ মৈত্র হাইকুর রচনা করেন বলে জানা যায়। এরপর সমকালে অনেকেই হাইকু রচনা করেন। হাইকু কবিতা অন্য সব কবিতা থেকে একটু ভিন্ন আঙ্গিক এবং ভিন্ন দর্শনের উপলব্ধি অনুভব করা যায়।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাইকু কবিতাকে অনুভবের কবিতা বলেছেন। তিনটি সংক্ষিপ্ত লাইনের হাইকু পৃথিবীর অন্যতম সংক্ষিপ্ত কাব্যরূপ। এ কবিতায় মোট ১৭টি মাত্রা থাকে। উল্লেখ্য, হাইকু তিন লাইনে ৫, ৭, ৫ মাত্রার রচনাশৈলীর। এতে মোট ১৭ মাত্রা হলেও এই শর্ত প্রায় রক্ষিত হয় না। তবে এই তিনটি লাইনের কবিতায় একটি লক্ষণীয় ভাব ও দর্শন এমনভাবে ফুটে উঠে যা ত্রিশ লাইনের কবিতায় প্রকাশ করা বিরল। মোট কথা, হাইকুতে কম কথায় বিস্তারিত কথা বা ব্যখ্যা বোঝায়। ইহাকে বিস্তারিত অর্থে ধরে নিতে হয়। হাইকুর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে : হাইকু আমাদের চারপাশের পরিবেশের সৌন্দর্যের মর্ম উপলব্ধি এবং প্রকৃতির সঙ্গে নিকট সংযোগ সৃষ্টি করাতে সাহায্য করে।

একজন হাইকু কবি যতটা তার তিন লাইনের কবিতায় প্রকৃতি-দর্শন-ভাবকে যেভাবে দেখেন, পাঠক বা সমালোচক হিসেবে আমরা সেভাবে কখনোই হয়ত তা বুঝতে বা বোঝাতে পারব না।

মিনহাজ উদ্দিন শপথ ইতিমধ্যে হাইকু লিখে খ্যাতি অর্জন করেছেন, কাব্য ভুবনে জায়গা করে নিয়েছেন। সুধিমহলে যে কয়েকজন লেখক হাইকু লেখালিখিতে পরিচিত তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। তার আলোচ্য ‘হাইকু ক্যানভাসে’ ২০০টি হাইকু যুক্ত বর্ণবিহীন মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা। কখনো কখনো পঙতির অক্ষরে ফলা পরিলক্ষিত হলেও যুক্ত বর্ণ বা বিশ্লিষ্ট বর্ণের উচ্চারণ নেই বলে অনুমিত হয়। তার তিন পঙতির হাইকু মোট ১৭ মাত্রার, এই তিন পঙতির মধ্যে প্রথম পঙতি ৫, দ্বিতীয় পঙতি ৭ এবং শেষ পঙতি ৫ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত ছন্দের রচনাশৈলী বলে পরিলক্ষিত হয়। এই ছন্দের গতিবেগ একটানা প্রবাহিত, এর টান ললিত মধুর।

কবি মিনহাজ উদ্দিন শপথ তাঁর ‘হাইকু ক্যানভাসে’ যেভাবে প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে সমাজ, সংসার, প্রকৃতি, প্রেম, বিরহ, রাজনীতি ইত্যাদি প্রত্যয়ের যে বৈচিত্র্য এঁকেছেন তা পাঠক হিসেবে আমাদেরকে ভাবায়। আমরা মনে করি বাংলা ভাষায় হাইকু রচনায় তার নামটিও যুক্ত হবে। তার ‘হাইকু ক্যানভাস’ গ্রন্থে দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদের প্রথম ফ্ল্যাপে হাইকু কবি রাইসুল হকের লিখিত উচ্ছ্বসিত প্রশংসা বাণী রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কবি মিনহাজ উদ্দিন শপথের ‘হাইকু ক্যানভাস’ থেকে কয়েকটি হাইকু কবিতা তুলে ধরা হলো।


দুপুর একা
গাছের ছায়াতলে
শীতল রেখা


সময় গাছ
হাওয়া সুর তুলে
পাতার ভাঁজ


ইসরে ইস
পাখিটা বুকে বসে
বাজায় শিস

১৫
ফুল ফুটবে
ফাগুন রঙে ঘ্রান
মাটির টবে

৩২
শরৎ ভোরে
কাশফুলের ঢেউ
নদীর তীরে

৯৯
আয়না মুখ
পুরোনো হয় নাকো
ফাগুন সুখ

১০৪
চেনা দুপুর
অচেনা মেঘে দেখি
বাজ নূপুর

১৯৯
কোকিল ডাকে
শীত আয়োজনে
অবাক দেখে

কবি মিনহাজ উদ্দিন শপথ আমাদের চেনাজানা চারপাশের জগৎ থেকে তার হাইকুর বিষয়াবলি নিয়েছেন। তার ‘হাইকু ক্যানভাসে’ পরতে পরতে সমাজ, সংসার, প্রকৃতি, প্রেম, বিরহ ইত্যাদি বিচিত্র, বর্ণীল ও বর্ণাঢ্যতা ফুটে উঠেছে তা অপূর্ব। বাংলা কাব্যের ভুবনে হাইকু রচনাশৈলীর ইতিহাসে কবি মিনহাজ উদ্দিন শপথ তার এই গ্রন্থের জন্য অনেকদিন আলোচিত হবেন। আমরা মনে করি, মিনহাজ উদ্দিন শপথ তার ‘হাইকু ক্যানভাস’ কাব্যগ্রন্থটি বাংলা ভাষায় আধুনিক কবিতাচর্চার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে বিবেচিত হবে। কাজটির জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক

প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’

মিনহাজ উদ্দিন শপথের ‘হাইকু ক্যানভাস’ : কিছু কথা

আপডেট সময় ১১:২৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

মিনহাজ উদ্দিন শপথ (জন্ম ১০ই আগস্ট ১৯৭৫) মূলত কবি। পেশায় তিনি শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। আবৃত্তিতেও তিনি যুক্ত। জামালপুর ‘কবিতীর্থ’ সাহিত্য সংগঠনে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার হাত ধরে অনেকে আবৃত্তিতে এসেছেন। তিনি জাতীয় কবিতা পরিষদ, জামালপুর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শিল্প সাহিত্যবিষয়ক পত্রিকা ‘আর্ট পেপার’ এর নির্বাহী সম্পাদক। ‘কী রকম অন্ধকার যেন’ (২০০৯) ‘ত্রয়িকা’ (হাইকু) (২০১১) এবং ‘হাইকু ক্যানভাস’ (২০২৪) নামে তার ৩টি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। তার আগ্রহের অন্যতম বিষয় কবিতা, সাহিত্য সংগঠন ও পত্রিকায় যুক্ত থাকা ও শিক্ষকতা প্রভৃতি।

২০২৪ সালে প্রকাশিত কবি মিনহাজ উদ্দিন শপথের জাপানি ফর্মের কবিতা ‘হাইকু ক্যানভাস’ গ্রন্থে দুইশটি হাইকু রয়েছে। আধুনিক বাংলা ভাষায় হাইকু কবিতা লেখার চর্চা বেশ লক্ষণীয়। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম আঙ্গিকের জনপ্রিয় এই কবিতার উৎপত্তি জাপানে। বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের সঙ্গে হাইকুর পরিচয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে।

হাইকুর সঙ্গে আমার পরিচয় হয় ২০১৪ সালে। কাজী নজরুলের লেখার পাঠ নিতে গিয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ সুরেন্দ্রনাথ মৈত্র (১৮৭৭-১৯৪৪) সম্বন্ধে অবহিত হই। তার ‘জাপানী ঝিনুক’ নামের গ্রন্থে হাইকুর রচনা রয়েছে। বাংলা ভাষায় রবীন্দ্রনাথের পর সুরেন্দ্রনাথ মৈত্র হাইকুর রচনা করেন বলে জানা যায়। এরপর সমকালে অনেকেই হাইকু রচনা করেন। হাইকু কবিতা অন্য সব কবিতা থেকে একটু ভিন্ন আঙ্গিক এবং ভিন্ন দর্শনের উপলব্ধি অনুভব করা যায়।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাইকু কবিতাকে অনুভবের কবিতা বলেছেন। তিনটি সংক্ষিপ্ত লাইনের হাইকু পৃথিবীর অন্যতম সংক্ষিপ্ত কাব্যরূপ। এ কবিতায় মোট ১৭টি মাত্রা থাকে। উল্লেখ্য, হাইকু তিন লাইনে ৫, ৭, ৫ মাত্রার রচনাশৈলীর। এতে মোট ১৭ মাত্রা হলেও এই শর্ত প্রায় রক্ষিত হয় না। তবে এই তিনটি লাইনের কবিতায় একটি লক্ষণীয় ভাব ও দর্শন এমনভাবে ফুটে উঠে যা ত্রিশ লাইনের কবিতায় প্রকাশ করা বিরল। মোট কথা, হাইকুতে কম কথায় বিস্তারিত কথা বা ব্যখ্যা বোঝায়। ইহাকে বিস্তারিত অর্থে ধরে নিতে হয়। হাইকুর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে : হাইকু আমাদের চারপাশের পরিবেশের সৌন্দর্যের মর্ম উপলব্ধি এবং প্রকৃতির সঙ্গে নিকট সংযোগ সৃষ্টি করাতে সাহায্য করে।

একজন হাইকু কবি যতটা তার তিন লাইনের কবিতায় প্রকৃতি-দর্শন-ভাবকে যেভাবে দেখেন, পাঠক বা সমালোচক হিসেবে আমরা সেভাবে কখনোই হয়ত তা বুঝতে বা বোঝাতে পারব না।

মিনহাজ উদ্দিন শপথ ইতিমধ্যে হাইকু লিখে খ্যাতি অর্জন করেছেন, কাব্য ভুবনে জায়গা করে নিয়েছেন। সুধিমহলে যে কয়েকজন লেখক হাইকু লেখালিখিতে পরিচিত তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। তার আলোচ্য ‘হাইকু ক্যানভাসে’ ২০০টি হাইকু যুক্ত বর্ণবিহীন মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা। কখনো কখনো পঙতির অক্ষরে ফলা পরিলক্ষিত হলেও যুক্ত বর্ণ বা বিশ্লিষ্ট বর্ণের উচ্চারণ নেই বলে অনুমিত হয়। তার তিন পঙতির হাইকু মোট ১৭ মাত্রার, এই তিন পঙতির মধ্যে প্রথম পঙতি ৫, দ্বিতীয় পঙতি ৭ এবং শেষ পঙতি ৫ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত ছন্দের রচনাশৈলী বলে পরিলক্ষিত হয়। এই ছন্দের গতিবেগ একটানা প্রবাহিত, এর টান ললিত মধুর।

কবি মিনহাজ উদ্দিন শপথ তাঁর ‘হাইকু ক্যানভাসে’ যেভাবে প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে সমাজ, সংসার, প্রকৃতি, প্রেম, বিরহ, রাজনীতি ইত্যাদি প্রত্যয়ের যে বৈচিত্র্য এঁকেছেন তা পাঠক হিসেবে আমাদেরকে ভাবায়। আমরা মনে করি বাংলা ভাষায় হাইকু রচনায় তার নামটিও যুক্ত হবে। তার ‘হাইকু ক্যানভাস’ গ্রন্থে দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদের প্রথম ফ্ল্যাপে হাইকু কবি রাইসুল হকের লিখিত উচ্ছ্বসিত প্রশংসা বাণী রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কবি মিনহাজ উদ্দিন শপথের ‘হাইকু ক্যানভাস’ থেকে কয়েকটি হাইকু কবিতা তুলে ধরা হলো।


দুপুর একা
গাছের ছায়াতলে
শীতল রেখা


সময় গাছ
হাওয়া সুর তুলে
পাতার ভাঁজ


ইসরে ইস
পাখিটা বুকে বসে
বাজায় শিস

১৫
ফুল ফুটবে
ফাগুন রঙে ঘ্রান
মাটির টবে

৩২
শরৎ ভোরে
কাশফুলের ঢেউ
নদীর তীরে

৯৯
আয়না মুখ
পুরোনো হয় নাকো
ফাগুন সুখ

১০৪
চেনা দুপুর
অচেনা মেঘে দেখি
বাজ নূপুর

১৯৯
কোকিল ডাকে
শীত আয়োজনে
অবাক দেখে

কবি মিনহাজ উদ্দিন শপথ আমাদের চেনাজানা চারপাশের জগৎ থেকে তার হাইকুর বিষয়াবলি নিয়েছেন। তার ‘হাইকু ক্যানভাসে’ পরতে পরতে সমাজ, সংসার, প্রকৃতি, প্রেম, বিরহ ইত্যাদি বিচিত্র, বর্ণীল ও বর্ণাঢ্যতা ফুটে উঠেছে তা অপূর্ব। বাংলা কাব্যের ভুবনে হাইকু রচনাশৈলীর ইতিহাসে কবি মিনহাজ উদ্দিন শপথ তার এই গ্রন্থের জন্য অনেকদিন আলোচিত হবেন। আমরা মনে করি, মিনহাজ উদ্দিন শপথ তার ‘হাইকু ক্যানভাস’ কাব্যগ্রন্থটি বাংলা ভাষায় আধুনিক কবিতাচর্চার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে বিবেচিত হবে। কাজটির জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক