ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি সংস্কার চায় না, জল ঘোলা করতেই এমন অভিযোগ : আমীর খসরু প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ারের সাক্ষাৎ অপপ্রচারের প্রতিবাদে মাদারগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলন বিএফডিসির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে: মাহফুজ আলম পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা দোহা থেকে সরাসরি রোমে যাবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তৎপরতায় রোহিঙ্গা সংকট বৈশ্বিক আলোচনায় ফিরেছে : প্রেস সচিব ইস্তাম্বুলের উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত কাশ্মীরে হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ ইরানের আছে ‘অতি গোপনীয়’ এআই সক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র : ইরানি জেনারেল সাত বছর পর জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্ট হারল বাংলাদেশ

শেরপুরে শিক্ষক ও উলামায়ে কেরামদের সম্মানে জামায়াতের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

শেরপুর : ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, তরুণ ছাত্রসমাজের জন্যই আজ আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই ছাত্ররা চায় একটি ‘ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ’ গড়তে, এর জন্য আমাদের সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলেই ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

২০ মার্চ বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও উলামায়ে কেরামদের সম্মানে শেরপুর পৌর শহরের জি কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে শেরপুর শহর ও সদর জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছে। এই ক্রান্তিকালে আমরা আপনাদের সাথে অনেক কিছুই শেয়ার করতে পারিনি এটা সত্য, কিন্তু আমরা নানাবিধভাবে আপনাদের আশেপাশেই ছিলাম। এ সময়ে জুলুম নির্যাতনের জন্যই আমাদের এ পথ বেছে নিতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ছাত্র আন্দোলনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের শত শত ভাইকে আমরা হারিয়েছি, অসংখ্য বোন এ দেশ থেকে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশান্তর হয়েছেন। অনেক ভাই-বোন পঙ্গুত্ববরণ করেছেন।

শেরপুর : ইফতার মাহফিলে দোয়ায় অংশ নেন দলীয় নেতৃ এবং শিক্ষক ও উলামায়ে কেরামগণ। ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

আমরা এই জুলুম-নির্যাতনের প্রান্ত সীমায় দাঁড়িয়ে বলব, তরুণ ছাত্রসমাজের মাধ্যমে যারা আমাদের একটা বিজয় এনে দিয়েছে তারা বলছেন, তারা একটি ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গড়তে চায়। আমি বলব, আমরা যারা ইসলাম চর্চা করি তাদের জন্য কিন্তু এ বক্তব্যটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমি মনে করি, একটি ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ তৈরি করা শিক্ষিত সমাজের দ্বারাই সম্ভব। আজকের এই ইফতার মাহফিলে উপস্থিত রয়েছেন জাতির বিবেক শিক্ষক এবং সম্মানিত আলেমগণ, এ উভয়পক্ষ যদি আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি তাহলে সমন্বিতভাবে এই বাংলাদেশকে ইনক্লুসিভ বাংলাদেশে পরিণত করা জাস্ট সময়ের ব্যাপার মাত্র ইনশাআল্লাহ। আর আমাদের এ সুযোগটা করে দিয়েছে আমাদের সূর্য সন্তান ছাত্ররাই।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে আমাদের শুধু রাজনৈতিক না, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে আমরা নাজুক অবস্থায় রয়েছি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে।

রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ সমাজে রোজা পালনের ক্ষেত্রে মানুষের যে আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষা রয়েছে এটা যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সকল ইবাদতের ক্ষেত্রে থাকতো তাহলে আমরা কতই না মর্যাদাপূর্ণ হয়ে যেতাম।

শেরপুর : ইফতার মাহফিলে দোয়ায় অংশ নেন দলীয় নেতৃ এবং শিক্ষক ও উলামায়ে কেরামগণ। ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শেরপুর শহর ও সদর উপজেলা শাখা আয়োজিত এ ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জেলা আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সাবেক জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল বাতেন, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. আনোয়ার হোসাইন, মাওলানা আব্দুল আওয়াল, শহর আমীর মাওলানা নুরুল আমিন, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা আতাউর রহমান, সদর নায়েবে আমীর মাওলানা নূর-ই আলম সিদ্দিকী, সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সোবহান, শহর সেক্রেটারি ডা. হাসানুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শহর শাখার সহ-সেক্রেটারি প্রভাষক মো. জাহিদ আনোয়ার।

ইফতার মাহফিলে প্রায় এক হাজার শিক্ষক ও উলামায়ে কেরাম অংশগ্রহণ করেন।

বিএনপি সংস্কার চায় না, জল ঘোলা করতেই এমন অভিযোগ : আমীর খসরু

শেরপুরে শিক্ষক ও উলামায়ে কেরামদের সম্মানে জামায়াতের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৮:৫০:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, তরুণ ছাত্রসমাজের জন্যই আজ আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই ছাত্ররা চায় একটি ‘ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ’ গড়তে, এর জন্য আমাদের সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলেই ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

২০ মার্চ বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও উলামায়ে কেরামদের সম্মানে শেরপুর পৌর শহরের জি কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে শেরপুর শহর ও সদর জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছে। এই ক্রান্তিকালে আমরা আপনাদের সাথে অনেক কিছুই শেয়ার করতে পারিনি এটা সত্য, কিন্তু আমরা নানাবিধভাবে আপনাদের আশেপাশেই ছিলাম। এ সময়ে জুলুম নির্যাতনের জন্যই আমাদের এ পথ বেছে নিতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ছাত্র আন্দোলনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের শত শত ভাইকে আমরা হারিয়েছি, অসংখ্য বোন এ দেশ থেকে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশান্তর হয়েছেন। অনেক ভাই-বোন পঙ্গুত্ববরণ করেছেন।

শেরপুর : ইফতার মাহফিলে দোয়ায় অংশ নেন দলীয় নেতৃ এবং শিক্ষক ও উলামায়ে কেরামগণ। ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

আমরা এই জুলুম-নির্যাতনের প্রান্ত সীমায় দাঁড়িয়ে বলব, তরুণ ছাত্রসমাজের মাধ্যমে যারা আমাদের একটা বিজয় এনে দিয়েছে তারা বলছেন, তারা একটি ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গড়তে চায়। আমি বলব, আমরা যারা ইসলাম চর্চা করি তাদের জন্য কিন্তু এ বক্তব্যটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমি মনে করি, একটি ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ তৈরি করা শিক্ষিত সমাজের দ্বারাই সম্ভব। আজকের এই ইফতার মাহফিলে উপস্থিত রয়েছেন জাতির বিবেক শিক্ষক এবং সম্মানিত আলেমগণ, এ উভয়পক্ষ যদি আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি তাহলে সমন্বিতভাবে এই বাংলাদেশকে ইনক্লুসিভ বাংলাদেশে পরিণত করা জাস্ট সময়ের ব্যাপার মাত্র ইনশাআল্লাহ। আর আমাদের এ সুযোগটা করে দিয়েছে আমাদের সূর্য সন্তান ছাত্ররাই।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে আমাদের শুধু রাজনৈতিক না, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে আমরা নাজুক অবস্থায় রয়েছি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে।

রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ সমাজে রোজা পালনের ক্ষেত্রে মানুষের যে আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষা রয়েছে এটা যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সকল ইবাদতের ক্ষেত্রে থাকতো তাহলে আমরা কতই না মর্যাদাপূর্ণ হয়ে যেতাম।

শেরপুর : ইফতার মাহফিলে দোয়ায় অংশ নেন দলীয় নেতৃ এবং শিক্ষক ও উলামায়ে কেরামগণ। ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শেরপুর শহর ও সদর উপজেলা শাখা আয়োজিত এ ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জেলা আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সাবেক জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল বাতেন, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. আনোয়ার হোসাইন, মাওলানা আব্দুল আওয়াল, শহর আমীর মাওলানা নুরুল আমিন, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা আতাউর রহমান, সদর নায়েবে আমীর মাওলানা নূর-ই আলম সিদ্দিকী, সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সোবহান, শহর সেক্রেটারি ডা. হাসানুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শহর শাখার সহ-সেক্রেটারি প্রভাষক মো. জাহিদ আনোয়ার।

ইফতার মাহফিলে প্রায় এক হাজার শিক্ষক ও উলামায়ে কেরাম অংশগ্রহণ করেন।