ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’ বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র পুরো সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার : জয়নুল আবদীন ফারুক পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৬০ বছরের ইতিহাসে পুলিশ এত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি : পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম হাটচন্দ্রায় মাকে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার ইসলামপুরে এক মাদরাসা শিক্ষক বহিষ্কার গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমানো হয়েছে : রিজওয়ানা ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চান নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না গাজা উপত্যকায় গত দিনে ইসরাইলি হামলায় ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত

জামালপুরে হৃদরোগ চিকিৎসাসেবায় আলোকবর্তিকা হয়ে উঠছেন ডা. সাইখ মাহবুব সেতু

জামালপুর : হৃদরোগ, রক্তনালী ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. সাইখ মাহবুব সেতু। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবার মৃত্যুর কষ্ট বুকে নিয়ে বেড়ে উঠা ডা. সাইখ মাহবুব সেতু আজ জামালপুরে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন।

প্রতিবছর যথাপোযুক্ত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে অসংখ্য মানুষ। রোগ নির্ণয়, যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যথার্থ সেবা এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ব্যবস্থা না থাকায় হৃদরোগে মৃত্যুঝুঁকি জামালপুরে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি নীতিনির্ধারকদের বিমাতাসূলভ আচরণ এবং খামখেয়ালির কারণে জামালপুরবাসী জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের কোটি টাকার সম্পদ পেলেও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যন্ত্রপাতিগুলো আজ বিকল প্রায়। শত দাবির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিগত সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্বৃত্তায়নের কারণে হাতের কাছে পেয়েও সিসিইউ বা আইসিসিইউ সেবা হাতছাড়া হয়ে যায়। ডা. সাইখ মাহবুব সেতুকে নিয়ে লেখার উপজিব্য ছেড়ে উল্লেখিত ব্যর্থতাগুলো অবশ্যই প্রাসঙ্গিক।

ডা. সাইখ মাহবুব সেতু উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে জামালপুর নিরন্তর ছুটছেন স্বাস্থ্যসেবা কাজে। জামালপুর মেডিকেল কলেজে রেজিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখা, সযত্নে ইকো করা, স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল যাছাই করাসহ নানাবিধ কাজে ব্যস্ত থাকেন। সরকারি দায়িত্ব পালন শেষ করে বিকাল থেকে শুরু করেন এমএ রশিদ হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে মধ্যরাত পর্যন্ত রোগী দেখার আন্তরিক দায়িত্ব তৎপরতা। তার অবিরাম ছুটে চলায় কখনও ক্লান্তি দেখা যায়নি। প্রবল প্রান্তশক্তি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ প্রাণগুলো বাঁচানোর জন্যে ডা. সাইখ মাহবুব সেতু রীতিমতো যুদ্ধ শুরু করেছেন। তার জামালপুরে আগমনে হৃদরোগীদের মাঝে বেঁচে থাকার নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।

ডা. সাইখ মাহবুব সেতু জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুনামের সাথে কার্ডিওভাস্কুলার এন্ড থোরাসিক সার্জারি নিয়ে এমএস সম্পন্ন করেন। শিক্ষার প্রতিটি ধাপে আশাব্যঞ্জক ফলাফল অর্জন করে পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।

কর্মজীবনেও সকল প্রতিকূলতা হাসিমুখে অতিক্রম করে আশাভরা দিগন্তস্পর্শ করার লক্ষ্য নিয়ে বিরতীহীনভাবে ছুটছেন। তার বাবা ছিলেন স্বনামধন্য শিক্ষক। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর শিক্ষিকা মা স্বযতনে মানুষের মত মানুষ করে তুলেছেন ডা. সাইখ মাহবুব সেতুকে। তার পাশে থেকে চিকিৎসক স্ত্রী সমানতালে মানবকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেও মা, স্ত্রী, সন্তান নিয়ে সুখেই আছেন বলে তিনি জানান। তিনি হৃদরোগ, রক্তনালী ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন হিসেবে স্বল্প সময়ের মধ্যে জামালপুরে রোগীদের জন্য আশার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠছেন।

তিনি আবেগ আপ্লুত ভাষায় বলেন, আব্বু হার্ট এটাকে মারা যাবার পর থেকে জামালপুরের হার্ট ও ফুসফুসের রোগের চিকিৎসাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রবল ইচ্ছে নিয়েই আমার প্রফেশনাল লাইফকে উৎসর্গ করেছি।

প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’

জামালপুরে হৃদরোগ চিকিৎসাসেবায় আলোকবর্তিকা হয়ে উঠছেন ডা. সাইখ মাহবুব সেতু

আপডেট সময় ০৯:৫৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবার মৃত্যুর কষ্ট বুকে নিয়ে বেড়ে উঠা ডা. সাইখ মাহবুব সেতু আজ জামালপুরে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন।

প্রতিবছর যথাপোযুক্ত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে অসংখ্য মানুষ। রোগ নির্ণয়, যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যথার্থ সেবা এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ব্যবস্থা না থাকায় হৃদরোগে মৃত্যুঝুঁকি জামালপুরে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি নীতিনির্ধারকদের বিমাতাসূলভ আচরণ এবং খামখেয়ালির কারণে জামালপুরবাসী জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের কোটি টাকার সম্পদ পেলেও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যন্ত্রপাতিগুলো আজ বিকল প্রায়। শত দাবির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিগত সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্বৃত্তায়নের কারণে হাতের কাছে পেয়েও সিসিইউ বা আইসিসিইউ সেবা হাতছাড়া হয়ে যায়। ডা. সাইখ মাহবুব সেতুকে নিয়ে লেখার উপজিব্য ছেড়ে উল্লেখিত ব্যর্থতাগুলো অবশ্যই প্রাসঙ্গিক।

ডা. সাইখ মাহবুব সেতু উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে জামালপুর নিরন্তর ছুটছেন স্বাস্থ্যসেবা কাজে। জামালপুর মেডিকেল কলেজে রেজিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখা, সযত্নে ইকো করা, স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল যাছাই করাসহ নানাবিধ কাজে ব্যস্ত থাকেন। সরকারি দায়িত্ব পালন শেষ করে বিকাল থেকে শুরু করেন এমএ রশিদ হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে মধ্যরাত পর্যন্ত রোগী দেখার আন্তরিক দায়িত্ব তৎপরতা। তার অবিরাম ছুটে চলায় কখনও ক্লান্তি দেখা যায়নি। প্রবল প্রান্তশক্তি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ প্রাণগুলো বাঁচানোর জন্যে ডা. সাইখ মাহবুব সেতু রীতিমতো যুদ্ধ শুরু করেছেন। তার জামালপুরে আগমনে হৃদরোগীদের মাঝে বেঁচে থাকার নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।

ডা. সাইখ মাহবুব সেতু জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুনামের সাথে কার্ডিওভাস্কুলার এন্ড থোরাসিক সার্জারি নিয়ে এমএস সম্পন্ন করেন। শিক্ষার প্রতিটি ধাপে আশাব্যঞ্জক ফলাফল অর্জন করে পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।

কর্মজীবনেও সকল প্রতিকূলতা হাসিমুখে অতিক্রম করে আশাভরা দিগন্তস্পর্শ করার লক্ষ্য নিয়ে বিরতীহীনভাবে ছুটছেন। তার বাবা ছিলেন স্বনামধন্য শিক্ষক। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর শিক্ষিকা মা স্বযতনে মানুষের মত মানুষ করে তুলেছেন ডা. সাইখ মাহবুব সেতুকে। তার পাশে থেকে চিকিৎসক স্ত্রী সমানতালে মানবকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেও মা, স্ত্রী, সন্তান নিয়ে সুখেই আছেন বলে তিনি জানান। তিনি হৃদরোগ, রক্তনালী ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন হিসেবে স্বল্প সময়ের মধ্যে জামালপুরে রোগীদের জন্য আশার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠছেন।

তিনি আবেগ আপ্লুত ভাষায় বলেন, আব্বু হার্ট এটাকে মারা যাবার পর থেকে জামালপুরের হার্ট ও ফুসফুসের রোগের চিকিৎসাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রবল ইচ্ছে নিয়েই আমার প্রফেশনাল লাইফকে উৎসর্গ করেছি।