জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় গরু চুরির ১১ মামলার আসামি শাহীন মিয়ার (৪৩) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৮ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের বাজিতেরপাড়া এলাকার একটি সেতুর পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও আদারভিটা এলাকা থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকাপভ্যানসহ সাত মামলার আরেক আসামি আব্দুল জলিলকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, নিহত শাহীন মিয়া জামালপুর সদর উপজেলার পশ্চিম নাছিরপুর এলাকার মৃত জাহেদ আলী নেদলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ও ১০টি গরু চুরির মামলা রয়েছে। পুলিশের হাতে আটক হওয়া আব্দুল জলিল জামালপুর শহরের ডাকপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে গরু চুরির সাতটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা এলাকায় গরু চুরির একটি পিকাপভ্যানকে ধাওয়া করে স্থানীয়রা। রাস্তায় মাদারগঞ্জ মডেল থানার টহল পুলিশ পিকাপভ্যানটি থামিয়ে আব্দুল জলিলকে চিনতে পেরে গাড়ি থেকে তাকে নামিয়ে নেন। এ সময় চোরের দল পিকাপভ্যানটি নিয়ে দ্রুতগতিতে সেখান থেকে চলে যায়। কিছু দূর যাওয়ার পর একটি জায়গায় পিকাপভ্যানটি রেখে পালিয়ে যায় চোরের সদস্যরা।
এদিকে ১৮ মার্চ মঙ্গলবার সকালে বাজিতেরপাড়া এলাকায় সেতু সংলগ্ন অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। আটক আব্দুল জলিল তার সহযোগী শাহীন মিয়ার লাশ বলে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মাদারগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, ১৭ মার্চ রাতে আব্দুল জলিল নামে একজনকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। তার সহযোগী শাহীন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।