জামালপুরে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন করেছে আইনজীবী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ১০ মার্চ সোমবার জামালাপুর জেলা জজ আদালতে আইনজীবী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের প্রতিবাদে ১১ মার্চ মঙ্গলবার জেলা আইনজীবী সমিতি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
১১ মার্চ সকালে জামালপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে জেলা আইনজীবী সমিতি মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি আইনজীবী মো. আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক রিশাদ রেজওয়ান বাবু, সহ-সভাপতি আইনজীবী জামিল হাসান তাপস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম, আইনজীবী মনজুর কাদের বাবুল খান, আইনজীবী দিদারুল ইসলাম, আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি আবু তাহের তারা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় আইনজীবী বক্তারা বলেন, ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় কয়েকজন আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারী আহত হন। তারা আইনজীবীদের গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিচারাঙ্গনে বিশৃঙ্খলা ও আদালতের স্বাভাবিক বিচার কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। তাদের দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য আহবান করা হলেও তারা আমাদের ডাকে সাড়া না নিয়ে উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।

এদিকে একই দিন দুপুরে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ প্রাঙ্গণে পাল্টা মানববন্ধন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার আহবায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস, আমিমুল ইহসান, আফরিন জান্নাত আখি, রেদুয়ান খন্দকার মাহিনসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, একটি ধর্ষণ মামলায় জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি করে আসামিকে নির্দোষ প্রমাণের অপচেষ্টা করে আইনজীবীরা। আদালতে আইনজীবীরা ধর্ষকের পক্ষে অবস্থান নেন। আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধর্ষকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি করে আসামির বয়স কমানোর ব্যাপারে আইনজীবীদের কাছে এর জবাবদিহি চান। এ সময় আইনজীবীরা মব জাস্টিস সৃষ্টি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও মারধর করে। তাদের হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
উল্লেখ্য, ১০ মার্চ একটি ধর্ষণ মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে আইনজীবী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় চারজন আইনজীবী, একজন আইনজীবী সহকারী ও ছয় জন শিক্ষার্থী আহত হয়।