‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে জামালপুরে যুব অনূর্ধ্ব ১৮ বালক-বালিকা দলের কাবাডি প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জিলা স্কুল মাঠে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
কাবাডি বালক টাঙ্গাইল জেলা বনাম কিশোরগঞ্জ জেলা এবং বালিকা টাঙ্গাইল জেলা বনাম কিশোরগঞ্জ জেলা উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহণ করে।
খেলায় ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা অনূর্ধ্ব-১৮ বালক ও বালিকা দল অংশগ্রহণ করে। উদ্বোধনী খেলায় বালক জামালপুর জেলাকে পরাজিত করে ময়মনসিংহ জেলা চ্যাম্পিয়ন হয় এবং বালিকা কিশোরগঞ্জ জেলাকে পরাজিত করে জামালপুর জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ও স্মারক বেলুন উড়িয়ে কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জহুরুল ইসলাম।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম-সেবা, ক্রীড়া সংগঠক ও অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, জামালপুরে আপনাদের আগমন উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমরা আনন্দিত ও গর্বিত জামালপুরের মতো এত ছোট জেলায় ৮টি জেলার এই খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য। খেলাধুলার মূল উদ্দেশ্য শুধু চ্যাম্পিয়ন হওয়া নয়। আমরা চাচ্ছি একটি সুনাগরিক, জাতি তাদের সুনির্দিষ্ট নেতৃত্বের মাধ্যমে তাদের বিকাশ এখানে ঘটবে। তারা সকল প্রকার অপরাধ থেকে মুক্ত থাকবে। সন্ত্রাসমুক্ত ও অপরাধমুক্ত একটি যুব সমাজ গড়বে। সমাজের অপরাধ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখবে। সমাজের কোন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দেখলে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তারা আরও বলেন, যুব সমাজের মধ্যে আগামী দিনের বাংলাদেশ লুকায়িত আছে। তোমাদের সেই নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে হবে। একই সাথে তোমাদের শারীরিক বা মানসিক যে সুস্থ বিকাশ হওয়া দরকার, সেইটা খেলাধুলার মাধ্যমে অনেকটাই সম্ভব। সুস্থ দেহও থাকতে হবে এবং সুন্দর মনও থাকতে হবে। যা তোমাদেরকে খেলাধুলায় অনুপ্রাণিত করবে। আমরা সুনাগরিক চাই। যে নাগরিক ভবিষ্যতের জন্য কখনও কোন সমস্যা বয়ে আনবে না। তারা দেশকে অনেক কিছু দিতে পারবে।
জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এবং পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ও বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।