ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় প্রস্তুত, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশলের অধীনে নয়।
তেহরানের প্রধান কূটনীতিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আলোচনার প্রয়োজন, তবে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতির কাঠামোর মধ্যে নয়, তাহলে সেটি কোনো আলোচনা নয় বরং আত্মসমর্পণের একটি রূপ হবে।’
তেহরান থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা না করার আহ্বান জানানোর পর আরাঘচির এই বিবৃতি আসে। সর্বোচ্চ নেতা এই ধরণের পদক্ষেপকে ‘বেপরোয়া’ বলে অভিহিত করেছেন।
ইরানের সকল কৌশলগত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী খামেনি তার অবস্থানকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় ইরানের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন।
২০১৫ সালে, ইরান আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিনিময়ে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, চীন এবং রাশিয়ার সাথে একটি যুগান্তকারী চুক্তি করে।
২০১৮ সালে, তার প্রথম মেয়াদে, ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং ইউরোপীয় বিরোধিতা সত্ত্বেও তেহরানের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন।
বুধবার ট্রাম্প ইরানের সাথে একটি ‘যাচাইকৃত পারমাণবিক শান্তি চুক্তি” করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইরান ‘পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না।
পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্যের কথা অস্বীকার করে ইরান জোর দিয়ে বলেছে তার পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে।
তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার তার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি পুনর্বহাল করেছেন।
ওয়াশিংটন বৃহস্পতিবার চীনে কয়েকশ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ইরানি অপরিশোধিত তেল সরবরাহের অভিযুক্ত সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন।
আরাগচি শনিবার বলেন, ‘ইরান এমন একটি দেশের সাথে আলোচনা করতে চায় না যারা একই সাথে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।’