দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুন্যের সুবাদে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এগারতম আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।
তৃতীয় দল হিসেবে খুলনার টুর্নামেন্ট শেষ করার পেছনে বড় অবদান রেখেছেন মিরাজ। শেষ দল হিসেবে প্লে-অফে এসে এলিমিনেটর ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে জয় পায় খুলনা। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে চট্টগ্রাম কিংসের কাছে হেরে ফাইনাল খেলার সুযোগ হারায় তারা।
শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর ফাইনালে চট্টগ্রামকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বরিশাল। এ বছর বিপিএলের প্রাইজমানিও বেড়েছে।
ফরচুন বরিশাল : ফ্র্যাঞ্চাইজিটি টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে আড়াই কোটি টাকা পেয়েছে বরিশাল। যা গত আসরের চেয়ে ৫০ লাখ টাকা বেশি।
চট্টগ্রাম কিংস : রানার্স-আপ হয়ে দেড় কোটি টাকা পেয়েছে চট্টগ্রাম।
খুলনা টাইগার্স : তৃতীয় সেরা দল হিসেবে ৬০ লাখ টাকা পায় খুলনা।
রংপুর রাইডার্স : টানা ৮ ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে প্লে -অফ নিশ্চিত করে রংপুর। কিন্তু এলিমিনেটর ম্যাচে হেরে চতুর্থ হয়ে ৪০ লাখ টাকা পেয়েছে রংপুর।
তামিম ইকবাল : ফাইনালের মঞ্চে দলের ৩ উইকেটে জয়ের ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।
মেহেদি হাসান মিরাজ : ব্যাট হাতে ১৪ ম্যাচে ৩৫৫ রান এবং বোলিংয়ে ১৩ উইকেট নিয়ে বিপিএলের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়া মিরাজ পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা।
তানজিদ হাসান তামিম : এবারের বিপিএলে উদীয়মান ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তানজিদ। বিপিএলে এই প্রথমবারের মতো উদীয়মান ক্রিকেটার পুরস্কার চালু করা হয়। ১২ ম্যাচে একটি শতকসহ ৪৮৫ রান করেন তিনি।
নাইম শেখ : এবারের বিপিএলে একটি সেঞ্চুরি ও তিনটি অর্ধশতকে সর্বোচ্চ ৫১১ রান করেন নাইম। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
তাসকিন আহমেদ : ১২ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তাসকিন। বিপিএলের ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর পুরস্কার হিসেবে ৫ লাখ টাকার পুরস্কার জিতেছেন তাসকিন।
মুশফিকুর রহিম : ১২টি ক্যাচ এবং ২টি স্টাম্পিংয়ের সেরা ফিল্ডার নির্বাচিত হন মুশফিক। তিনি পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা।