জামালপুর মেডিকেল কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মত ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন করে জামালপুর মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘রাজনীতি না পড়ালেখা’ ‘সেবা না শিক্ষা’ ‘ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, শিবিরের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ‘হুমকি না পড়ালেখা’ ‘ক্লাসরুম না রাজনীতি’ ইত্যাদি বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
কর্মসূচিতে জামালপুর মেডিকেল কলেজের ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের জাদিদ, জুবায়ের জাজবি, ২য় বর্ষের তাহমিদ হাসান, ইসরাত জাহান জ্যোতিসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, জামালপুর মেডিকেল কলেজের সকল শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর করে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য একাত্মতা প্রকাশ করেছে। কিন্তু কয়েকদিন আগে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নিজেদের ছাত্রদল দাবি করে ক্যাম্পাসে প্রচারপত্র বিতরণ করে। এ ঘটনার পর জামালপুর মেডিকেল কলেজে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও দাবি উঠে। এই প্রেক্ষিতে মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষক যারা নিজেদের বিএনপির মতাদর্শে বিশ্বাসী বলে দাবি করেন তারা আমাদেরকে বলেছেন আমরা কিভাবে পরীক্ষায় পাস করি তা তারা দেখে নিবেন। তারা আমাদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
তারা আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, শিবির কারও রাজনীতি চাই না। এর প্রতিবাদে আমরা ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সকল প্রকার ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে বিক্ষোভ করছি। এই আন্দোলনের কারণে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) জামালপুর একটি বিবৃতি দিয়েছে। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা সবাই সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ৫ আগস্টের আগে থেকেই আমরা ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান নেই। আমরা ড্যাবের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে দাবি করছি, কেন ড্যাব এই মিথ্যা বিবৃতি দিল তা তারা ব্যাখ্যা করবেন।
যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততদিন পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) জামালপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. তারিকুল ইসলাম রনি বলেন, ড্যাব বাস্তব বিষয় নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এখানে কোন মিথ্যা নেই। ছাত্রলীগের ইন্ধনে কতিপয় শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতি বন্ধের জন্য অযৌক্তিকভাবে প্রশাসনকে চাপে রেখেছে।