ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিক হৃদয়ের বিরুদ্ধে শ্রমিকলীগ নেতার বানোয়াট চাঁদাবাজির মামলা নরুন্দিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হকের মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত শেখ মুজিবকে দেবতা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল : হাবিব উন নবী খান সোহেল বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত আদালত, প্রসিকিউশন, প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বয়ে কাজ করলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবে : আইন উপদেষ্টা অপারেশন ডেভিল হান্টে কোন দুষ্কৃতকারী যেন রেহাই না পায় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনা শীর্ষ অটো প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি এআই ডিপসিক প্রযুক্তির গাড়ি আনছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত অঘোষিত সেমিফাইনালে ১২ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা
সংবাদ সম্মেলন

মেলান্দহে হত্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগ

 মেলান্দহ : সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মনজুরা বেগম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মেলান্দহের নয়াপাড়ার কোমল বাদশা নামে এক নিরীহ পরিবারের বাড়িঘরে লুটপাট ও হত্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি সকালে উপজেলার মাহমুদপর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কোমল বাদশার স্ত্রী মনজুরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পুরাতন বাড়ি ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের হাড়গিলা গ্রামে। বেশ কয়েক বছর আগে বাড়িঘর যমুনা নদীতে ভেঙে বিলীন হয়ে যায়। আমি অত্যন্ত নিরীহ গরীব মানুষ। সহায় সম্বল হারিয়ে চার সন্তানের ভরণ পোষণের জন্য আমার স্বামী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে টাকা উপার্জন করেন। গত ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে শাওন নামে আমার এক প্রতিবেশীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শাওন হত্যার সাথে জড়িত থাকার কারণে আমার পাশের বাড়ির বিদ্যুৎ নামের এক ছেলেসহ আরও দু’জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় ও তার বেশ কয়েকদিন থেকে আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা মামলার বাদী পক্ষের লোকজন গফুর মালের ছেলে লুৎফরসহ আরও কয়েকজন আমাদের বাড়িঘরে লুটপাট করে আমাদের বাড়ি ছাড়া করেছে। এখন আমাদের ওই হত্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকির কারণে আমরা বাড়িতে যেতে পারছি না। আমার বড় মেয়ে ইশিতা সদ্য প্রসবকৃত আট দিন বয়সের নাতিসহ বড় মেয়েকে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি বাড়িতে কেউ না থাকায় আমাদের গ্রামের চটকু শেখের ছেলে শাহজাহান, গফুর মালের ছেলে লুৎফর, আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোস্তফা, আবু আকন্দের ছেলে রবিউল, আনোয়ার শেখের ছেলে আয়নাল শেখ, নাজমুলের ছেলে আব্দুল্লাহ, চটকু শেখের ছেলে সাদাসহ আরও কয়েকজন আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার ঘরের আসবাবপত্র, নগদ টাকা, কাপড়, টিউবওয়েল ও ছাগলসহ অনেক কিছু লুট করে নিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীর সহায়তার ঘটনা শুনে চুপিসারে বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই। আমরা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পরিবার নিয়ে বাড়িতে ফিরতে না পেরে বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছি।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কোমল বাদশার স্ত্রীসহ ভুক্তভোগীরা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহযোগিতা ও ন্যায়বিচার কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আনোয়ার হোসেন আকাশসহ নিহত শাওনের মায়ের সাথে কথা হলে তারা উপরোক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শাওন হত্যা মামলায় যারা আসামি তারা কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে ও স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। তাদের বাড়িঘরে কে লুটপাট করেছে, বা তারা কেন বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক হৃদয়ের বিরুদ্ধে শ্রমিকলীগ নেতার বানোয়াট চাঁদাবাজির মামলা

সংবাদ সম্মেলন

মেলান্দহে হত্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

জামালপুরের মেলান্দহের নয়াপাড়ার কোমল বাদশা নামে এক নিরীহ পরিবারের বাড়িঘরে লুটপাট ও হত্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি সকালে উপজেলার মাহমুদপর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কোমল বাদশার স্ত্রী মনজুরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পুরাতন বাড়ি ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের হাড়গিলা গ্রামে। বেশ কয়েক বছর আগে বাড়িঘর যমুনা নদীতে ভেঙে বিলীন হয়ে যায়। আমি অত্যন্ত নিরীহ গরীব মানুষ। সহায় সম্বল হারিয়ে চার সন্তানের ভরণ পোষণের জন্য আমার স্বামী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে টাকা উপার্জন করেন। গত ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে শাওন নামে আমার এক প্রতিবেশীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শাওন হত্যার সাথে জড়িত থাকার কারণে আমার পাশের বাড়ির বিদ্যুৎ নামের এক ছেলেসহ আরও দু’জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় ও তার বেশ কয়েকদিন থেকে আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা মামলার বাদী পক্ষের লোকজন গফুর মালের ছেলে লুৎফরসহ আরও কয়েকজন আমাদের বাড়িঘরে লুটপাট করে আমাদের বাড়ি ছাড়া করেছে। এখন আমাদের ওই হত্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকির কারণে আমরা বাড়িতে যেতে পারছি না। আমার বড় মেয়ে ইশিতা সদ্য প্রসবকৃত আট দিন বয়সের নাতিসহ বড় মেয়েকে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি বাড়িতে কেউ না থাকায় আমাদের গ্রামের চটকু শেখের ছেলে শাহজাহান, গফুর মালের ছেলে লুৎফর, আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোস্তফা, আবু আকন্দের ছেলে রবিউল, আনোয়ার শেখের ছেলে আয়নাল শেখ, নাজমুলের ছেলে আব্দুল্লাহ, চটকু শেখের ছেলে সাদাসহ আরও কয়েকজন আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার ঘরের আসবাবপত্র, নগদ টাকা, কাপড়, টিউবওয়েল ও ছাগলসহ অনেক কিছু লুট করে নিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীর সহায়তার ঘটনা শুনে চুপিসারে বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই। আমরা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পরিবার নিয়ে বাড়িতে ফিরতে না পেরে বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছি।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কোমল বাদশার স্ত্রীসহ ভুক্তভোগীরা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহযোগিতা ও ন্যায়বিচার কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আনোয়ার হোসেন আকাশসহ নিহত শাওনের মায়ের সাথে কথা হলে তারা উপরোক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শাওন হত্যা মামলায় যারা আসামি তারা কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে ও স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। তাদের বাড়িঘরে কে লুটপাট করেছে, বা তারা কেন বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না।