ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিক হৃদয়ের বিরুদ্ধে শ্রমিকলীগ নেতার বানোয়াট চাঁদাবাজির মামলা নরুন্দিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হকের মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত শেখ মুজিবকে দেবতা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল : হাবিব উন নবী খান সোহেল বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত আদালত, প্রসিকিউশন, প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বয়ে কাজ করলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবে : আইন উপদেষ্টা অপারেশন ডেভিল হান্টে কোন দুষ্কৃতকারী যেন রেহাই না পায় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনা শীর্ষ অটো প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি এআই ডিপসিক প্রযুক্তির গাড়ি আনছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত অঘোষিত সেমিফাইনালে ১২ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা

চিকিৎসার অভাবে ক্যান্সার আক্রান্ত সাংবাদিক এম সুলতান আলম মৃত্যুপথযাত্রী

জামালপুর : বাংলাদেশ টু ডে'র সাংবাদিক এম সুলতান আলম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সদা হাস্যোজ্জ্বল মানবিক মানুষ জামালপুরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ টু ডে’র জামালপুর জেলা প্রতিনিধি এম সুলতান আলম মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থকষ্ট আর উন্নত চিকিৎসার অভাবে সুলতান আলম আজ মৃত্যুপথযাত্রী। হাসপাতালের ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছেন স্বজনেরা। সাংবাদিক এম সুলতান আলমের নির্ঘুম রাত কাটে এখন ক্যান্সারের ক্ষতযন্ত্রণার চিৎকারে। স্বামীর নিদারুণ কষ্টে তার স্ত্রী শাহিদা আখতার মলি বোবা কান্না ছাড়া আর কোন পথ খুঁজে পাচ্ছেন না।

দারিদ্র্যের সাথে সারাজীবন সংগ্রাম করে আপসহীন এ সাংবাদিক মানবেতর জীবন যাপন করলেও কখনো নীতিভ্রষ্ট হননি। নিঃসন্তান সাংবাদিক এম সুলতান আলম স্ত্রীকে নিয়ে জামালপুর পৌর এলাকার লাঙ্গলজোড়া গ্রামের একটি কুঁড়ে ঘরে বসবাস করলেও কারও করুণা প্রার্থনা করেননি কখনো। এম সুলতান আলম সাংবাদিকতা ব্যতীত আর কোন আয়মুখী কাজে যুক্ত ছিলেন না। ফলে টানাপোড়েনের সংসারে সঞ্চয় করার মত কোন সুযোগ ছিল না।

এলাকার কোন অসহায় ব্যক্তি অসুস্থ হলে তিনি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। কোন নারী, শিশু বিপদাপন্ন হলে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতেন। ‘জীবে দয়া করে যে জন সেইতো সেবিছে ঈশ্বর’ এই অমীয় বাণীর চেতনা ধারণ করে তিনি মানবকল্যাণে নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছেন। শুধু মানুষ নয়, কোন অবলা প্রাণী বিপদে পড়লেও তিনি পাশে দাঁড়াতেন।

সাংবাদিক এম সুলতান আলম কখনো ধূমপান করেন নাই। ফাস্টফুড খান নাই। রিচফুডে ছিল তার অনাসক্তি। কখনো তিনি হোটেলে বসে চায়ের আড্ডায় মেতে থাকতেন না। এন্টিবায়োটিকসহ এলোপ্যাথিক ওষুধ সেবন করতেন না। হোমিও এবং ভেষজ ওষুধ ছিল তার ছোটখাটো অসুখের মূল চিকিৎসা। অথচ নিয়তির কি নির্মম পরিহাস সাধারণ এবং হিসেব নিকেশ করে জীবন ধারণ করা সাংবাদিক এম সুলতান আলম আজ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুণছেন।

ডাক্তাররা বলেছেন, সুলতানকে যথাযথ চিকিৎসা করা হলে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। এর জন্য গুণতে হবে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। সহকর্মীরা স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করে যা দিয়েছেন সেই টাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা বাবদই খরচ হয়ে গেছে। মোটা অংকের টাকার জন্য এখন প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় এবং বিত্তবানদের আনুকূল্য। একজন সৎ ও কমিটেড সাংবাদিকের জীবন বাঁচানোর জন্য ২৫ লাখ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা কোন ব্যাপার না। সাংবাদিক কল্যাণ বোর্ড, সরকার, বিত্তবান এবং বাংলাদেশ টু-ডে কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলে সাংবাদিক এম সুলতান আলমকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

সাংবাদিক এম সুলতান আলমের লেখা খবরে সমাজের কতই না অসঙ্গতি দূর হয়েছে। কত অসহায় মানুষ নতুন জীবনের সন্ধান পেয়েছেন। অসুস্থ মানুষ চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন। অথচ তিনি আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন। তার নিদারুণ কান্নায় আজ আকাশ, বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। তার ঘরজুড়ে কবরের নিস্তব্ধতা ভাঙছে ভয়ানক আর্তনাদে। প্রবল অন্ধকার নেমে এসেছে তার কুঁড়ে ঘরে।

সবাই যদি একটু একটু করে সহায়তার হাত প্রসারিত করেন তাহলে সাংবাদিক এম সুলতান আলমের মুখে আবার হাসি ফোটানো সম্ভব। সাংবাদিক এম সুলতান আলমের বেঁচে থাকা মানে, তার পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখা। সৎ সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখা। আর্থিক সহায়তার জন্য ব্যাংক হিসাব : এম সুলতান আলম, হিসাব নম্বর 1560101070666 পূবালী ব্যাংক জামালপুর শাখা। বিকাশ নম্বর ০১৭১৬ ৫১৭৩৩৫।

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক হৃদয়ের বিরুদ্ধে শ্রমিকলীগ নেতার বানোয়াট চাঁদাবাজির মামলা

চিকিৎসার অভাবে ক্যান্সার আক্রান্ত সাংবাদিক এম সুলতান আলম মৃত্যুপথযাত্রী

আপডেট সময় ০৮:২৯:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

সদা হাস্যোজ্জ্বল মানবিক মানুষ জামালপুরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ টু ডে’র জামালপুর জেলা প্রতিনিধি এম সুলতান আলম মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থকষ্ট আর উন্নত চিকিৎসার অভাবে সুলতান আলম আজ মৃত্যুপথযাত্রী। হাসপাতালের ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছেন স্বজনেরা। সাংবাদিক এম সুলতান আলমের নির্ঘুম রাত কাটে এখন ক্যান্সারের ক্ষতযন্ত্রণার চিৎকারে। স্বামীর নিদারুণ কষ্টে তার স্ত্রী শাহিদা আখতার মলি বোবা কান্না ছাড়া আর কোন পথ খুঁজে পাচ্ছেন না।

দারিদ্র্যের সাথে সারাজীবন সংগ্রাম করে আপসহীন এ সাংবাদিক মানবেতর জীবন যাপন করলেও কখনো নীতিভ্রষ্ট হননি। নিঃসন্তান সাংবাদিক এম সুলতান আলম স্ত্রীকে নিয়ে জামালপুর পৌর এলাকার লাঙ্গলজোড়া গ্রামের একটি কুঁড়ে ঘরে বসবাস করলেও কারও করুণা প্রার্থনা করেননি কখনো। এম সুলতান আলম সাংবাদিকতা ব্যতীত আর কোন আয়মুখী কাজে যুক্ত ছিলেন না। ফলে টানাপোড়েনের সংসারে সঞ্চয় করার মত কোন সুযোগ ছিল না।

এলাকার কোন অসহায় ব্যক্তি অসুস্থ হলে তিনি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। কোন নারী, শিশু বিপদাপন্ন হলে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতেন। ‘জীবে দয়া করে যে জন সেইতো সেবিছে ঈশ্বর’ এই অমীয় বাণীর চেতনা ধারণ করে তিনি মানবকল্যাণে নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছেন। শুধু মানুষ নয়, কোন অবলা প্রাণী বিপদে পড়লেও তিনি পাশে দাঁড়াতেন।

সাংবাদিক এম সুলতান আলম কখনো ধূমপান করেন নাই। ফাস্টফুড খান নাই। রিচফুডে ছিল তার অনাসক্তি। কখনো তিনি হোটেলে বসে চায়ের আড্ডায় মেতে থাকতেন না। এন্টিবায়োটিকসহ এলোপ্যাথিক ওষুধ সেবন করতেন না। হোমিও এবং ভেষজ ওষুধ ছিল তার ছোটখাটো অসুখের মূল চিকিৎসা। অথচ নিয়তির কি নির্মম পরিহাস সাধারণ এবং হিসেব নিকেশ করে জীবন ধারণ করা সাংবাদিক এম সুলতান আলম আজ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুণছেন।

ডাক্তাররা বলেছেন, সুলতানকে যথাযথ চিকিৎসা করা হলে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। এর জন্য গুণতে হবে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। সহকর্মীরা স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করে যা দিয়েছেন সেই টাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা বাবদই খরচ হয়ে গেছে। মোটা অংকের টাকার জন্য এখন প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় এবং বিত্তবানদের আনুকূল্য। একজন সৎ ও কমিটেড সাংবাদিকের জীবন বাঁচানোর জন্য ২৫ লাখ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা কোন ব্যাপার না। সাংবাদিক কল্যাণ বোর্ড, সরকার, বিত্তবান এবং বাংলাদেশ টু-ডে কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলে সাংবাদিক এম সুলতান আলমকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

সাংবাদিক এম সুলতান আলমের লেখা খবরে সমাজের কতই না অসঙ্গতি দূর হয়েছে। কত অসহায় মানুষ নতুন জীবনের সন্ধান পেয়েছেন। অসুস্থ মানুষ চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন। অথচ তিনি আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন। তার নিদারুণ কান্নায় আজ আকাশ, বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। তার ঘরজুড়ে কবরের নিস্তব্ধতা ভাঙছে ভয়ানক আর্তনাদে। প্রবল অন্ধকার নেমে এসেছে তার কুঁড়ে ঘরে।

সবাই যদি একটু একটু করে সহায়তার হাত প্রসারিত করেন তাহলে সাংবাদিক এম সুলতান আলমের মুখে আবার হাসি ফোটানো সম্ভব। সাংবাদিক এম সুলতান আলমের বেঁচে থাকা মানে, তার পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখা। সৎ সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখা। আর্থিক সহায়তার জন্য ব্যাংক হিসাব : এম সুলতান আলম, হিসাব নম্বর 1560101070666 পূবালী ব্যাংক জামালপুর শাখা। বিকাশ নম্বর ০১৭১৬ ৫১৭৩৩৫।