সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী তৃতীয় লীঙ্গের সদস্য, গৃহকর্মী ও বিপদাপন্ন নারী, শিশুদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং অধিকার সুরক্ষায় উন্নয়ন সংঘের স্ট্রেনদেনিং ক্যাপাসিটি এন্ড রাইটস ইনিসিয়েটিভ থ্রো প্রোমোশন অফ টেকনোলজিস্ট (স্ক্রিপ্ট) প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার শেরপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হয়।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসা. হাফিজা জেসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ভুইয়া, শেরপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. তোফায়েল আহমেদ, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লুৎফুল কবীর, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা, পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল, তৃতীয় লীঙ্গের প্রতিনিধি নিশি সরকার প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম। এতে ধারণাপত্র উপস্থাপনা করেন স্ক্রিপ্ট প্রকল্পের ব্যবস্থাপক লিটন সরকার।
দেশের সর্ববৃহৎ স্টিল কোম্পানি বিএসআরএম এর সহযোগিতায় স্ক্রিপ্ট প্রকল্পের কার্যক্রম জামালপুর ও শেরপুর জেলায় ৮৫০ জন উল্লেখিত জনগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর আগে বিএসআরএমএর সহায়তায় তৃতীয় লীঙ্গের সদস্যদের নিয়ে তিন বছর প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।
সভা সূত্র জানায়, স্ক্রিপ্ট প্রকল্পের আওতায় গৃহকর্মী, হিজড়া জনগোষ্ঠী, বিপদাপন্ন, নারী, শিশু-কিশোর, কিশোরীদের অধিকার, আত্মকর্মসংস্থান, কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, সামাজিক ও মানবিক সচেতনতা সৃষ্টি করাসহ উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে বহুমাত্রিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি জামালপুর ও শেরপুর জেলার উল্লেখিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কার্যক্রম চলছে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান উন্নয়ন সংঘ ও বিএসআরএমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন শেরপুরে অল্পসংখ্যক তৃতীয় লীঙ্গের সদস্যদের পুনর্বাসন করা সময়ে ব্যপার মাত্র। আগামী তিন বছর পর অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।