জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আতাউর রহমান বিপুলকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আরও তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ১৯ জানুয়ারি রবিবার রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- সরিষাবাড়ী উপজেলার চর পোগলদিঘা গ্রামের মৃত বাবু মিয়ার ছেলে বিন্দু তালুকাদার, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত বাদল মিয়ার ছেলে তানজিল ইসলাম তাসিন ও তাসলিমুল ইসলাম তমাল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করেছে ডিবি।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে আতাউর রহমান বিপুলের পিতা আনোয়ার হোসেন কালু মিয়া ও তার চাচাত ভাই তোতা মিয়ার সাথে বসতবাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ১৭ জানুয়ারি সকালে আনোয়ার হোসেন কালু মিয়ার বসতবাড়ির আঙিনায় খড়ের পালা সরিয়ে নিতে হুমকি দেয় তোতা মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান আপেল ও তার সহযোগীরা। খড়ের পালা সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানালে আতাউর রহমান বিপুল, স্ত্রী আসমা বেগম ও পুত্রবধূ মুক্তা বেগমের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় আসাদুজ্জামান আপেল ও তার সহযোগীরা।
এ সময় হামলাকারীরা আতাউর রহমান বিপুলের হাত-পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে। এরপর তার স্ত্রী মুক্তা বেগম ও মা আসমা বেগমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি রাতে নিহতের বড় ভাই আল আমিন বাদী হয়ে আসাদুজ্জামান আপেলকে প্রধান আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় ১০ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন । এরপর সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওইদিন আনোয়ারা বেগম ও সাজিদ ইসলাম তানজিলকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে ১৯ জানুয়ারি রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আরও তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি’র একটি আভিযানিক দল।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, আতাউর রহমান বিপুল হত্যা মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আরও তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে এই মামলাটির পাঁচজন আসামি গ্রেপ্তার হল। মামলাটির অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।