জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ৫০ একর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গুনারিতলা ইউনিয়নের কাতলামারি এলাকায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম। এ উপলক্ষে মাদারগঞ্জ উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির শাহের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইফতেখার ইউনুস, জামালপুর খামারবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদা খানম লিজা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শাহাদুল ইসলাম, মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা রওশন আরা আক্তার প্রমুখ। এ সময় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, কৃষকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে উপশী জাতের বোরো ধানের সমলয় চাষাবাদ ব্লক প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। এ প্রদর্শনীতে ব্রি ধান-৮৯ জাতের চারা রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ৮২ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে রোপণ করা হবে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শাহাদুল ইসলাম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, চলতি মৌসুমে মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারিতলা ইউনিয়নে ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো আবাদ শুরু করছেন স্থানীয় কৃষকেরা। জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সমলয়ে চাষাবাদের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারসহ বোরো ধানের উৎপাদন খরচ কমানো, শ্রমিক সংকট নিরসন ও সময় সাশ্রয় সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, সফলভাবে ফসল উৎপাদনের জন্য সমলয়ে চাষাবাদ পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কৃষি মন্ত্রণালয় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের বিনামূল্যে ব্রি ধান-৮৯ জাতের বীজ, সার ও ফসলের উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে বোরো ধান উৎপাদন খরচ কমবে এবং ফলন হবে বেশি।