ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে ৩৫ বিজিবি জামালপুর ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সীমান্তের বেশ কয়েকটি স্থানে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার দিনব্যাপী এই সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালায় বিজিবি।
১৪ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী এবং রাজীবপুর উপজেলার সাহেবের আলগা, দাঁতভাঙ্গা, গয়টাপাড়া, মোল্লারচর, রৌমারী, বাংলাবাজার, হিজলামারী, বড়াইবাড়ী, খেয়ারচর ও বালিয়ামারী এবং জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ এবং বকশীগঞ্জ উপজেলাধীর বাঘারচর, পাথরেরচর, ঝাউডাঙ্গা, কামালপুর ও সাতানীপাড়া বিওপির নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জনসচেতনতামূলক সভা পরিচালনা করা হয়।
জনসচেতনতামূলক সভায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজিবির কর্মকর্তারা সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জনগণের সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দেন। সেসব নির্দেশেনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- বিজিবির কর্মকর্তারা জনগণের উদ্দেশ্যে অবধৈভাবে সীমান্ত অতিক্রমসহ মাদক পাচার ও গরু চোরাচালানের সাথে জড়িত না হওয়া। বাংলাদেশী নাগরিক কর্তৃক শূন্য লাইন অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে ঘাস কাটা, ফসল বিনষ্ট করা, ফসল কাটা এবং গবাদি পশু চড়ানো ইত্যাদি কর্মকাণ্ড পরিহার করা। বাংলাদেশী নাগরিক কর্তৃক প্রতিপক্ষ বিএসএফ, ভারতীয় নাগরিকের সাথে খারাপ অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার এবং টহল দলের উপর ইট, পাথর নিক্ষেপ না করা।
এছাড়াও সন্ধ্যার পর কোন অবস্থাতেই সীমান্ত এলাকায় গমন না করা। বাঁশের আরকি ব্যবহার করে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে গরু পারাপার না করা। মাদক সেবনের কুফল সম্পর্কে আলোচনা এবং মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবিকে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা করা ও মানসিক অসুস্থ ব্যক্তিদের পাচার না করার বিষয়ে অবগত করা হয়।
প্রতিটি সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় জনসাধারণ অংশ নেন।