জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক হাফিজ রায়হান সাদার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার স্ত্রীর দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন জামালপুর জেলায় কর্মরত সাংবাদিকেরা। ১১ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাব সড়কে জামালপুর প্রেসক্লাব এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান। এতে বক্তব্য রাখেন জামালপুর প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ কাফি পারভেজ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, দৈনিক সচেতন কন্ঠের সম্পাদক বজলুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক এস এম আব্দুল হালিম, জামালপুর অন-লাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শওকত জামান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মিন্টু, আর টিভির সাংবাদিক সুবিনয় রায় তপু, জামালপুর নাগরিক ভয়েসের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, জামালপুর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, জামালপুর রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম রুকন, জামালপুর জেলা যুবদলের যুগ্মআহবায়ক হাসান সরোয়ার মনজু, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন জামালপুরের আহবায়ক শাহাবুল আকন্দ ও সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম তুফান, সাংবাদিক ইউনিয়ন জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক রাজিব চক্রবর্তী সুকান্ত, মেলান্দহ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আজম খান ও সহ-সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল হাই, দেওয়ানগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক খাদেমুল ইসলাম, সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক তৌহিদুল ইসলাম হাসু, ই-প্রেসক্লাব জামালপুরের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আহসান হাবীব স্বপন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার যুগ্মআহবায়ক রেহামান বিন শাওন, বাংলাদেশ রিপোটার্স ক্লাব জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক মুক্তাদির হোসেন সেলিম প্রমুখ।
বক্তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক হাফিজ রায়হান সাদার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার স্ত্রীর দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন। বক্তারা বলেন, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক হাফিজ রায়হান সাদাকে সামাজিকভাবে হেয়পতিপন্ন করতেই ষড়যন্ত্রমূলক ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উত্তাল আন্দোলনের কারণে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলে যান এবং তার সকরারের পতন ঘটে। সরকার পতনের পরও শেখ হাসিনার অনুসারী ও মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম শিপন এলাকায় বেশ প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে। তিনি তার স্ত্রী সামসুন্নাহার সুমাইয়াকে দিয়ে ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জমিসংক্রান্ত বিরোধে হাফিজ রায়হান সাদাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মেলান্দহ থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা সাইদুল ইসলাম শিপন উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের সিঁড়িঘাট তেঘুরিয়া এলাকার আজিজুল হক বাগুর ছেলে। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা সাইদুল ইসলাম শিপন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করেন। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতার ভয়ে এলাকার লোকজন তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা সাইদুল ইসলাম শিপন তার সকল অপকর্ম ঢাকতে এবং তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় হাফিজ রায়হান সাদাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।