জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদার বিরুদ্ধে মেলান্দহ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইদুল ইসলাম শিপন শিপনের স্ত্রী সামসুন্নাহার সুমাইয়ার দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সাংবাদিক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে জামালপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, যুগ্মসম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ কাফি পারভেজ, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন মুক্তা, সদস্য দৈনিক সচেতনকন্ঠের সম্পাদক বজলুর রহমান, দৈনিক আলোচিত জামালপুরের নির্বাহী সম্পাদক সাযযাদ আনসারী, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি এস এম আব্দুল হালিম, বাংলার চিঠিডটকমের নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা মনজু, একুশে টিভির সাংবাদিক মুক্তা আহম্মেদ, জামালপুর ভয়েসের সম্পাদক জাকিউল ইসলাম, দৈনিক সংগ্রামের সাংবাদিক জুলফিকার আলী, সাংবাদিক ইউনিয়ন জেলা শাখার সভাপতি রাজিব চক্রবর্তী সুকান্ত, জামালপুর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব স্বপন, ই-প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক হাফিজ রায়হান সাদাকে সামাজিকভাবে হেয়পতিপন্ন করার জন্যই ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে সাংবাদিকদের প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এরই অংশ হিসেবে ১১ জানুয়ারি শনিবার জামালপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে জেলার সকল সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেন সাংবাদিকনেতারা।
একই দাবিতে এর আগে ৮ জানুয়ারি বুধবার রাতে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, যুগ্মসম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ কাফি পারভেজ, কার্যনির্বাহী সদস্য জুলফিকার মো. জাহিদ হাবিব, আনোয়ার হোসেন মুক্তা, শওকত জামান, সদস্য বজলুর রহমান, বাংলারচিঠিডটকম এর নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা মনজু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উত্তাল আন্দোলনের কারণে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলে যান এবং তার সকরারের পতন ঘটে। সরকার পতনের পরও শেখ হাসিনার অনুসারী ও মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম শিপন এলাকায় বেশ প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে। তিনি তার স্ত্রী সামসুন্নাহার সুমাইয়াকে দিয়ে ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জমিসংক্রান্ত বিরোধে হাফিজ রায়হান সাদাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মেলান্দহ থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা সাইদুল ইসলাম শিপন উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের সিঁড়িঘাট তেঘুরিয়া এলাকার আজিজুল হক বাগুর ছেলে। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা সাইদুল ইসলাম শিপন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করেন। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতার ভয়ে এলাকার লোকজন তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা সাইদুল ইসলাম শিপন তার সকল অপকর্ম ঢাকতে এবং তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় হাফিজ রায়হান সাদাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।