টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে ঘুমন্ত তাবলীগী সাথীদের ওপর সা’দপন্থীদের বর্বরোচিত হামলা-হত্যার বিচার দাবিতে জামালপুরে তাবলীগী জামাত ও তাওহিদী জনতার ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইফতেখার ইউনুসের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তাবলীগী জামাতের নেতারা।
২১ ডিসেম্বর শনিবার সকালে শহরের ফৌজদারি মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জামালপুর তাবলীগ জামাত ও তৌহিদী জনতার আহ্বায়ক মুফতী শামছুদ্দীনের সভাপতিত্বে ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী খানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুফতী মনিরুল ইসলাম, হযরত মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা মুফতী আব্দুল্লাহ, হযরত মাওলানা নজরুল ইসলাম, হযরত মাওলানা হাসান আলী, মুফতী আমানউল্লাহ কাসেমী, মাওলানা মাসুদ হোসাইন, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মুফতী মোস্তফা কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মেরাজুর রহমান, মুফতী সোহায়েল রহমান, তাবলীগের সাথী নুর ইসলাম নিরল, ডাক্তার এম এ জলিল, তাবলীগের সাথী মাসুদুর রহমান, হযরত মাওলানা ইমাম হোসেন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা আব্দুল ওহাব, হাফেজ মাওলানা শহিদুল্লাহ, তাবলীগের সাথী আবু হানিফ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে হামলা চালায় ইহুদি-নাসারার মদদপুষ্ট সাদপন্থীরা। তারা নিরীহ ও ইমানদার মুসলিমদের হত্যা করে রক্তাক্ত করে বিশ্ব ইজতেমার পবিত্র ময়দান। ইজতেমাকে বিতর্কিত করতেই তারা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালায়। তাদের স্থান এ বাংলার মাটিতে হবে না। কোনো মসজিদ থেকেও তাদের দাওয়াতি কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। তারা ইসলামের দুশমন।
শতবর্ষের পবিত্র টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে যারা রক্ত ঝরিয়েছে এবং হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে তাবলীগী জামাত ও তাওহিদী জনতা জামালপুর জেলা শাখার সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।