ঢাকা ১২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বপ্ন স্থির করতে পারলে লক্ষ্য পূরণ হবেই : রোকেয়া দিবসে জামালপুর ডিসি

সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

‘নারী কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতামুক্ত বিশ্ব গড়ি’ এ স্লোগান সামনে রেখে ৯ ডিসেম্বর সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত জয়িতাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, নিজেকে কতটা আলাদা করবেন তা নির্ভর করে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, কর্মতৎপরতা, জ্ঞানের উপর। এর জন্য স্টাডি করতে হবে। জিপিএ-৫ ভিত্তিক শিক্ষার বাইরে বহুমাত্রিক জ্ঞান আহরণ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। বেগম রোকেয়া সংগ্রাম করে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। তার ইচ্ছা, স্বপ্ন এবং সময়ের কঠিন সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে পেরেছেন। সফল হয়েছেন। নারী জাগরণে অসামান্য অবদান রেখেছেন।

তিনি বলেন, পর্দা ও শালীনতা বজায় রেখেও সকল ক্ষেত্রে লড়াই করে জয়ী হওয়া যায়। নিকট অতীতে জয়িতা পুরস্কার প্রাপ্ত নিজের জীবনের উদাহরণ টেনে জেলা প্রশাসক বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রীড়া, আবৃত্তি, সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায়, বিএনসিসি, স্কাউটিং এবং কর্মক্ষেত্রে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রতিদিন দুই কিলোমিটার হেঁটে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করেছি। সন্তান লালন পালন, সংসার সামলানো থেকে শুরু করে ধর্মীয়, সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণেও পিছ পা হইনি। লড়াই করেই জয়ী হতে হয়। স্বপ্ন স্থির করতে পারলে লক্ষ্য পূরণ হবেই।

তিনি বলেন, যে যাই করেন পরিবারকে বাদ দিয়ে নয়। পরিবারের স্বার্থকে অগ্রাধীকার দিতে হবে। সম্মান, শালীনতা বজায় রেখে সবকিছু করতে হবে। মেয়েরা তিনভাবে বিনিয়োগ করে। মা হওয়া, সংসার বা পরিবার দেখা এবং কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করা।

অতিথিদের সাথে জয়িতা পুরস্কার প্রাপ্ত নারীরা।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইফতেখার ইউনুছ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন্নাহার।

এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মৌসুমী খানম, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, সুইড প্রতিনিধি আনিছুর রহমান, সাংবাদিক ফজলে এলাহী মাকাম, শিক্ষক তারিকুল ফেরদৌস প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন।

আলোচনা সভা শেষে জেলা ও সদর উপজেলা থেকে জয়িতা প্রাপ্ত নারী ও জেলা কৃর্তিমান নারী খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন।

অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী, সফল জননী, নির্যাতনের বিভিষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে সংবর্ধিত হন যথাক্রমে মুনমুন নাজমা, ফারজানা ইসলাম, আফরোজা বেগম, আছমা আক্তার, হেপী, পারভীন আক্তার ও রীমা খাতুন।

এছাড়া ক্রীড়াঙ্গনে কৃতিত্ব রাখায় পুরস্কৃত হন আরজিনা (অটিস্টিক), রীতা রানী দাস ( বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী), সাদিয়া বিনতে সফিউল (ফুটবলার), মিষ্টি খাতুন ( ফুটবলার)।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বপ্ন স্থির করতে পারলে লক্ষ্য পূরণ হবেই : রোকেয়া দিবসে জামালপুর ডিসি

আপডেট সময় ০৯:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

‘নারী কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতামুক্ত বিশ্ব গড়ি’ এ স্লোগান সামনে রেখে ৯ ডিসেম্বর সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত জয়িতাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, নিজেকে কতটা আলাদা করবেন তা নির্ভর করে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, কর্মতৎপরতা, জ্ঞানের উপর। এর জন্য স্টাডি করতে হবে। জিপিএ-৫ ভিত্তিক শিক্ষার বাইরে বহুমাত্রিক জ্ঞান আহরণ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। বেগম রোকেয়া সংগ্রাম করে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। তার ইচ্ছা, স্বপ্ন এবং সময়ের কঠিন সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে পেরেছেন। সফল হয়েছেন। নারী জাগরণে অসামান্য অবদান রেখেছেন।

তিনি বলেন, পর্দা ও শালীনতা বজায় রেখেও সকল ক্ষেত্রে লড়াই করে জয়ী হওয়া যায়। নিকট অতীতে জয়িতা পুরস্কার প্রাপ্ত নিজের জীবনের উদাহরণ টেনে জেলা প্রশাসক বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রীড়া, আবৃত্তি, সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায়, বিএনসিসি, স্কাউটিং এবং কর্মক্ষেত্রে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রতিদিন দুই কিলোমিটার হেঁটে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করেছি। সন্তান লালন পালন, সংসার সামলানো থেকে শুরু করে ধর্মীয়, সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণেও পিছ পা হইনি। লড়াই করেই জয়ী হতে হয়। স্বপ্ন স্থির করতে পারলে লক্ষ্য পূরণ হবেই।

তিনি বলেন, যে যাই করেন পরিবারকে বাদ দিয়ে নয়। পরিবারের স্বার্থকে অগ্রাধীকার দিতে হবে। সম্মান, শালীনতা বজায় রেখে সবকিছু করতে হবে। মেয়েরা তিনভাবে বিনিয়োগ করে। মা হওয়া, সংসার বা পরিবার দেখা এবং কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করা।

অতিথিদের সাথে জয়িতা পুরস্কার প্রাপ্ত নারীরা।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইফতেখার ইউনুছ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন্নাহার।

এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মৌসুমী খানম, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, সুইড প্রতিনিধি আনিছুর রহমান, সাংবাদিক ফজলে এলাহী মাকাম, শিক্ষক তারিকুল ফেরদৌস প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন।

আলোচনা সভা শেষে জেলা ও সদর উপজেলা থেকে জয়িতা প্রাপ্ত নারী ও জেলা কৃর্তিমান নারী খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন।

অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী, সফল জননী, নির্যাতনের বিভিষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে সংবর্ধিত হন যথাক্রমে মুনমুন নাজমা, ফারজানা ইসলাম, আফরোজা বেগম, আছমা আক্তার, হেপী, পারভীন আক্তার ও রীমা খাতুন।

এছাড়া ক্রীড়াঙ্গনে কৃতিত্ব রাখায় পুরস্কৃত হন আরজিনা (অটিস্টিক), রীতা রানী দাস ( বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী), সাদিয়া বিনতে সফিউল (ফুটবলার), মিষ্টি খাতুন ( ফুটবলার)।