শেরপুরের নকলা উপজেলায় জন্ম নিবন্ধনের জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করতে ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে নবজাতকের বাড়িতে মিষ্টি ও নবজাতকের পোশাক নিয়ে হাজির হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক দীপ জন মিত্র। ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নকলা পৌরসভার উদ্যোগে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার নবজাতকের বাড়িতে এসব নিয়ে হাজির হন তিনি।
এসময় পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল হাসান আজাদ, সুপারভাইজার ফজলে রাব্বী রাজন, স্বাস্থ্য সহকারী জান্নাতুল ফেরদৌস সৌরভ, টিকাদান সুপারভাইজার মোখলেছুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নকলা পৌরসভার কায়দা, ইশিবপুর ও দড়িপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নবজাতকের বাড়িতে যান। নবজাতকের পরিবার হঠাৎ পৌর প্রশাসকের হাতে মিষ্টি ও পোশাক দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেন। এই উদ্যোগকে সবাই স্বাগত জানান। পৌর প্রশাসকের (ইউএনও) আগমনে অনেকে উপস্থিত হলে সবার মাঝে জন্ম নিবন্ধন করার গুরুত্ব ও সুফল বর্ণনা করলে সবাই শিশু জন্মের পরই জন্ম নিবন্ধন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল হাসান আজাদ বলেন, শিশু জন্মের পরে জন্ম নিবন্ধন করার কথা থাকলেও নাগরিকেরা অবহেলা করেন। প্রায়ই দেখা যায় বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তির সময় অভিভাবকেরা জন্ম সনদ নিতে আসেন, তখন দেখা যায় অভিভাবকদের জন্ম নিবন্ধন করতে হয় এতে করে কিছুটা বিলম্ব হয়। তাছাড়া অনেক সময় সফটওয়্যারেরও সমস্যা থাকে। আমরা নাগরিক সেবা বৃদ্ধির জন্য এখন শিশু বাচ্চার জন্মের খবরে এখানে আসছি, যাতে তারা আগ্রহী হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক দীপ জন মিত্র বলেন, শিশু জন্মের পরপর জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। এটা সকল পরিবারের দায়িত্ব। শুধু তাই না জন্মের পরই জন্মনিবন্ধন করলে কোন ঝামেলা থাকে না। এর সুফল অনেক। তাই আজ আমরা এসেছি আপনাদের মাঝে সচেতনতা ও উৎসাহ বৃদ্ধি করতে। আপনারা নিজের শিশু জন্মের পরই জন্মনিবন্ধন করুন এবং আশপাশের সবাইকে জন্মনিবন্ধন করতে উদ্বুদ্ধ করুন। এটা আপনাদের নাগরিক অধিকার।