ঢাকা ১২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রশিদপুরে আ.লীগনেতা সাত্তার ও তার স্ত্রী হাফেজার ‘জিনের বাদশা’ কার্যক্রমে নিঃস্ব বহু মানুষ

জামালপুরের রশিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগনেতা ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী হাফেজা বেগমের ‘জিনের বাদশা’ কার্যক্রমের প্রতারণায় নিঃস্ব হচ্ছেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যে বহু মানুষের কাছ থেকে তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের ওই কার্যক্রম এখনও চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার অপর এক নারীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি আদালত থেকে বের হয়েছেন। স্থানীয়রা তাকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, জিনের বাদশা হিসাবে পরিচিত হাফেজা বেগম দীর্ঘ পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে জামালপুর সদরের রশিদপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা মোড় এলাকায় নিজ বাড়িতে একটি কক্ষে বসে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। ঝাড়-ফুক, তাবিজ এবং অন্যান্য জিনিসপত্রের নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, অসহায় মানুষদের বোকা বানিয়ে চিকিৎসার নামে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি তার স্বামী ইউপি সদস্য এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার এক অসহায় নারীর করা ধর্ষণ মামলায় জেল খেটে বের হয়েছেন। জেল থেকে বের হয়ে তিনিও নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। বিগত আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের সময়ে আব্দুস সাত্তারের অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে পড়েন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। স্ত্রীর অবৈধ ঝাড়-ফুকের চিকিৎসার নামে এবং আওয়ামী লীগ দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আব্দুস সাত্তার এখন বিশাল অর্থ-সম্পদের মালিক।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগনেতা ও ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী হাফেজা বেগম এলাকার নিরীহ মানুষদের বোকা বানিয়ে জিনের বাদশার নামে কুফুরি কালাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চিকিৎসার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের ওই অবৈধ কার্যক্রম এখনও চলছে। তাদের কেউ কিছু বলতে গেলে তারা তাদের হুমকি-ধামকি দিতেন। ভয় দেখিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখতেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছুদিন বন্ধ থাকলেও তারা পুনরায় অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। হাফেজা বেগম ও তার স্বামী আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান স্থানীয়রা।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মোহাম্মদ ফয়সল আতিক এ প্রতিবেদককে বলেন, সদরের রশিদপুরে ‘জিনের বাদশা’ কার্যক্রমের বিষয়ে আমার জানা ছিলো না। এখন জানলাম। দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রশিদপুরে আ.লীগনেতা সাত্তার ও তার স্ত্রী হাফেজার ‘জিনের বাদশা’ কার্যক্রমে নিঃস্ব বহু মানুষ

আপডেট সময় ০৯:২৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

জামালপুরের রশিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগনেতা ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী হাফেজা বেগমের ‘জিনের বাদশা’ কার্যক্রমের প্রতারণায় নিঃস্ব হচ্ছেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যে বহু মানুষের কাছ থেকে তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের ওই কার্যক্রম এখনও চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার অপর এক নারীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি আদালত থেকে বের হয়েছেন। স্থানীয়রা তাকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, জিনের বাদশা হিসাবে পরিচিত হাফেজা বেগম দীর্ঘ পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে জামালপুর সদরের রশিদপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা মোড় এলাকায় নিজ বাড়িতে একটি কক্ষে বসে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। ঝাড়-ফুক, তাবিজ এবং অন্যান্য জিনিসপত্রের নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, অসহায় মানুষদের বোকা বানিয়ে চিকিৎসার নামে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি তার স্বামী ইউপি সদস্য এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার এক অসহায় নারীর করা ধর্ষণ মামলায় জেল খেটে বের হয়েছেন। জেল থেকে বের হয়ে তিনিও নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। বিগত আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের সময়ে আব্দুস সাত্তারের অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে পড়েন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। স্ত্রীর অবৈধ ঝাড়-ফুকের চিকিৎসার নামে এবং আওয়ামী লীগ দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আব্দুস সাত্তার এখন বিশাল অর্থ-সম্পদের মালিক।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগনেতা ও ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী হাফেজা বেগম এলাকার নিরীহ মানুষদের বোকা বানিয়ে জিনের বাদশার নামে কুফুরি কালাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চিকিৎসার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের ওই অবৈধ কার্যক্রম এখনও চলছে। তাদের কেউ কিছু বলতে গেলে তারা তাদের হুমকি-ধামকি দিতেন। ভয় দেখিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখতেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছুদিন বন্ধ থাকলেও তারা পুনরায় অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। হাফেজা বেগম ও তার স্বামী আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান স্থানীয়রা।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মোহাম্মদ ফয়সল আতিক এ প্রতিবেদককে বলেন, সদরের রশিদপুরে ‘জিনের বাদশা’ কার্যক্রমের বিষয়ে আমার জানা ছিলো না। এখন জানলাম। দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।