কামরান গুলামের প্রথম সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে সফরকারী পাকিস্তান।
২৮ নভেম্বর রাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে পাকিস্তান ৯৯ রানে হারিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টি আইনে ৮০ রানে জিতেছিলো জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচ ১০ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতায় ফিরিয়েছিলো পাকিস্তান। নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের অধীনে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ জিতলো পাকিস্তান।
১-১ সমতা নিয়ে বুলাওয়েতে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭৩ বলে ৫৮ রানের সূচনা করে পাকিস্তান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাইম আইয়ুব ৩১ রানে থামলেও, হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫০ রান করে আউট হন শফিক।
শফিকের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৪ রানের জুটির পর অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ৮৯ রান যোগ করেন গুলাম। রিজওয়ান ৩৭ রানে ফেরার পর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান গুলাম। গত মাসে মুলতানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন গুলাম।
ইনিংসে ৪৫তম ওভারে আউট হবার আগে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৯৯ বলে ১০৩ রান করেন গুলাম। তার বিদায়ের পর সালমান আগার ৩০ ও তায়েব তাহিরের ১৬ বলে অপরাজিত ২৯ রানের উপর ভর করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা ও রিচার্ড এনগারাভা ২টি করে উইকেট নেন।
৩০৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। এরপর তৃতীয় থেকে পঞ্চম উইকেটে যথাক্রমে ৩৯, ৪১ ও ৩৩ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়ে।
জুটিতে ওপেনার তাদিওয়ানশে মারুমানি ও সিন উইলিয়ামস ২৪ করে এবং অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ৫১ রান করে আউট হন। তাদের বিদায়ে ১৩০ রানে ৬ উইকেট পতনে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
শেষ পর্যন্ত ৪০ দশমিক ১ ওভারে ২০৪ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। শেষ দিকে ব্রায়ান বেনেটের ৩৭ ও ক্লাইভ মাদান্দের ২০ রানে হারের ব্যবধান কমায় জিম্বাবুয়ে।
বোলিংয়ে পাকিস্তানের সাইম-আবরার-রউফ ও জামাল ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন গুলাম ও সিরিজ সেরা হন সাইম।
বুলাওয়েতে আগামী পহেলা ডিসেম্বর থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করবে পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ে।