ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এম এ রশিদ হাসপাতাল, জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর

দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এম এ রশীদ হাসপাতালের একটি কক্ষ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে হামলা-ভাংচুর, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে জামালপুর জেলা বিএনপির দলীয় প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা শহরের সরদারপাড়া এলাকায় বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতাল ও স্টেশন বাজার মোড়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ হামলা চালায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৮ নভেম্বর রাতে বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীরা একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে আগ্নেয়াস্ত্রসহ শহরের সরদারপাড়া এলাকায় ইউনাইটেড ট্রাস্টের বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতালে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও কর্মচারীদের মারধর করে।

এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ, অভ্যর্থনা ডেস্ক, বিভিন্ন কাউন্টার, ফার্মেসী, জরুরি বিভাগ, সিটি স্ক্যান, এক্স-রেসহ বিভিন্ন কক্ষ ভাংচুর করা হয়। এতে চারজন আহত হন। এ সময় হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হামলাকারীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সবাইকে ভয়ভীতি দেখায়।

হাসপাতাল ভাঙচুর শেষে তারা শহরের স্টেশন বাজার মোড়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যায়। এ সময় বিএনপি কার্যালয় বন্ধ ছিল। হামলাকারীরা দলীয় কার্যালয়ে হামলা, অস্ত্র প্রদর্শন ও বিএনপি নেতাদের নাম ধরে গালিগালাজ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন এম এ রশিদ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে জানান, এম এ রশিদ হাসপাতালে কোন কারণ ছাড়াই হামলা ও ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এখান থেকে যাওয়ার সময় ওই হামলাকারীরা জেলা বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে হামলা এবং অস্ত্র প্রদর্শন ও বিএনপির নেতাদের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান তিনি। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে জামালপুরবাসী।

তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা যদি বিএনপির নামধারী হয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে এটা ভাবার কোন কারণ নেই, তাছাড়া হামলাকারীদের কেউ যদি বিএনপির হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মোহাম্মদ আতিক এই প্রতিবেদককে বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। হাসপাতালটির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

এম এ রশিদ হাসপাতাল, জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর

আপডেট সময় ০৫:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

জামালপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে হামলা-ভাংচুর, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে জামালপুর জেলা বিএনপির দলীয় প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা শহরের সরদারপাড়া এলাকায় বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতাল ও স্টেশন বাজার মোড়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ হামলা চালায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৮ নভেম্বর রাতে বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীরা একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে আগ্নেয়াস্ত্রসহ শহরের সরদারপাড়া এলাকায় ইউনাইটেড ট্রাস্টের বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতালে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও কর্মচারীদের মারধর করে।

এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ, অভ্যর্থনা ডেস্ক, বিভিন্ন কাউন্টার, ফার্মেসী, জরুরি বিভাগ, সিটি স্ক্যান, এক্স-রেসহ বিভিন্ন কক্ষ ভাংচুর করা হয়। এতে চারজন আহত হন। এ সময় হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হামলাকারীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সবাইকে ভয়ভীতি দেখায়।

হাসপাতাল ভাঙচুর শেষে তারা শহরের স্টেশন বাজার মোড়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যায়। এ সময় বিএনপি কার্যালয় বন্ধ ছিল। হামলাকারীরা দলীয় কার্যালয়ে হামলা, অস্ত্র প্রদর্শন ও বিএনপি নেতাদের নাম ধরে গালিগালাজ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন এম এ রশিদ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে জানান, এম এ রশিদ হাসপাতালে কোন কারণ ছাড়াই হামলা ও ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এখান থেকে যাওয়ার সময় ওই হামলাকারীরা জেলা বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে হামলা এবং অস্ত্র প্রদর্শন ও বিএনপির নেতাদের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান তিনি। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে জামালপুরবাসী।

তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা যদি বিএনপির নামধারী হয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে এটা ভাবার কোন কারণ নেই, তাছাড়া হামলাকারীদের কেউ যদি বিএনপির হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মোহাম্মদ আতিক এই প্রতিবেদককে বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। হাসপাতালটির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।