জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের শিহাটা গ্রামের এক নারীর কাছ থেকে ধার নেয়া ৮ লাখ টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো ওই নারীর বাড়ি-ঘরে হামলা অগ্নিসংযোগ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী রুমী বেগম ২৪ নভেম্বর শনিবার দুপুরে শিহাটা গ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে মো. কামরুজ্জামানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী রুমী বেগম সংবাদ সম্মেলনে মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের শিহাটা গামের প্রতিবেশী মো. কামরুজ্জামান ব্যবসায়িক লভ্যাংশ দেওয়ার চুক্তিতে তার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা ধার নেন। ওই দিন উভয়পক্ষের কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ৩০০ টাকা মূল্যমানের তিনটি স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দলিলে স্বাক্ষরও করেন।
স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে টাকা ধার নেয়ার দুই মাস পর হিসাব চাইতে গেলে ব্যবসায়িক লভ্যাংশের টাকা না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন কামরুজ্জামান। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা সালিশ বৈঠক হলেও তিনি লভ্যাংশ ও ৮ লাখ টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৪ মে মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা আমলে নেয়া আদালত মেলান্দহে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর প্রভাবশালী মো. কামরুজ্জামান আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে মামলার বাদী রুমী বেগমকে মামলা প্রত্যাহার ও তার কাছে আরো ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। রুমী বেগম মামলা প্রত্যাহার ও তার দাবি করা টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলাসহ অগ্নিসংযোগ করে বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। হুমকির ঘটনায় কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত ২১ নভেম্বর মেলান্দহ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রুমী বেগম।
তিনি আরও বলেন, প্রভাবশালী কামরুজ্জামানের হুমকিতে প্রাণের ভয়ে বাড়িতে থাকা নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি আমার টাকাগুলো ফেরত পেতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সহায়তা কামনা করছি। একই সাথে আমাকে হুমকিদাতা কামরুজ্জামানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রুমী বেগমের স্বজন ও প্রতিবেশী সোহরাব আলী, মো. ফরিদ, কামরুল, মো. মজনু ও চান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।