সুসম্পর্কের সুবাদে হস্তশিল্পপণ্য ব্যবসায়ী আমেজ উদ্দিনকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা ধার দিয়ে বিপাকে পড়েছেন জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. বাহারাম। তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মো. বাহারাম। আমেজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, হস্তশিল্পপণ্য ব্যবসায়ী আমেজ উদ্দিন জামালপুর শহরের বগাবাঈদ এলাকার জব্বার খলিফার ছেলে। প্রতিবেশী গ্রাম হাটচন্দ্রার ব্যবসায়ী মো. বাহারামের সাথে তার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক ছিল। এই সুসম্পর্কের সুবাদে ব্যবসায়ী আমেজ উদ্দিন ব্যবসায়িক প্রয়োজনে মো. বাহারামের কাছ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা ধার নেন ২০১৯ সালের ৬ মে। টাকা ধার নেয়ার সময় আমেজ উদ্দিন ওইদিন কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে সমুদয় টাকা ছয় মাসের মধ্যে ফেরৎ দেওয়ার শর্তে একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে টাকাগুলো ধার নেন।
কিন্তু পরবর্তীতে ছয়মাস পার হয়ে গেলেও আমেজ উদ্দিন টাকা পরিশোধে নানান তালবাহানা শুরু করেন। তার কাছ থেকে টাকাগুলো আদায় করতে না পেরে ব্যবসায়ী মো. বাহারাম ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট একজন আইনজীবীর মাধ্যমে আমেজ উদ্দিনকে আইনি চিঠি দিয়ে সতর্ক করেন। কিন্তু আমেজ উদ্দিন ওই আইনি চিঠির কোন জবাব দেননি। টাকাও আর পরিশোধ করেননি।
টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ওই অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষরকারী সাক্ষীদের নিয়ে মো. বাহারাম ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে আমেজ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তার কাছে পাওনা সাড়ে ৫ লাখ টাকা ফেরৎ চান। এ সময় টাকা ধার নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন আমেজ উদ্দিন।
এরপর ভুক্তভোগী মো. বাহারাম বাদী হয়ে টাকাগুলো আদায়ের জন্য ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট তারিখে আমেজ উদ্দিকে বিবাদী করে জামালপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের আমলী আদালত জামালপুর সদরে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে বিবাদী আমেজ উদ্দিন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় আরও কয়েকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. বাহারাম এ প্রতিবেদককে বলেন, ব্যবসায়ী সুসম্পর্কের সুবাদে আমেজ উদ্দিনকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা ধার দিয়ে খুবই বিপাকে পড়েছি। গত সাড়ে ৫ বছরেও আমি তার কাছ থেকে টাকাগুলো আদায় করতে পারিনি। স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে টাকা ধার নিয়েও অস্বীকার করায় আমি খুবই মর্মাহত হই। টাকাগুলো তার কাছে আটকা পড়ে থাকায় আমার ব্যবসায়িক ও পারিবারিক অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আমি খুবই অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছি। ফলে আমি নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আশা করি আদালতের কাছ থেকে আমি ন্যায়বিচার পাবো।