জামালপুর জেলা জজ আদালতের জিপি’র (গভর্নমেন্ট প্রসিকিউটর) নাম তালিকায় একজন মৃত আইনজীবীর নাম থাকাকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
দুই আইনজীবীর নাম এসেছে ভিন্ন দুই পদে, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হিসেবে নাম এসেছে ছয় আওয়ামীপন্থী আইনজীবীর।
ত্রুটিপূর্ণ এ তালিকা বাতিল চেয়ে জামালপুর জেলা জজ আদালতের জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জামালপুর জেলা শাখা। ১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল দশটায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
তালিকা সূত্রে জানা গেছে, জিপি, অতিরিক্ত জিপি, সহকারী জিপি হিসেবে ২৮ জন এবং পিপি, অতিরিক্ত পিপি, এপিপি হিসেবে ৩৬ জন সব মিলিয়ে ৫৪ জন আইনজীবীর মধ্যে অতিরিক্ত জিপি আনোয়ার হোসেন মৃত এবং অতিরিক্ত পিপি দিদারুল ইসলামের নাম একই তালিকায় দুইবার লেখা হয়েছে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়ে জামালপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর নব-নির্বাচিত পাবলিক প্রসিকিউটর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুল হক বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তাদেরকে বঞ্চিত করে মৃত আইনজীবী, বারের সদস্য নয় এমন এক আইনজীবী এবং আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের সরকারি আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী সমিতির সদস্য আনোয়ার হোসেন দুই তিন বছর আগে মারা গেছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কেউ চিনি না এমন আইনজীবী কিভাবে নিয়োগ পায়? আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিংয়ে ব্যানার ধরে থাকা আইনজীবীরা কিভাবে এ সময় আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পায়?
তিনি আরও বলেন, আমরা মাননীয় জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটকে অনুরোধ করবো এ তালিকা যাতে গ্রহণ করা না হয়। আমরা দ্রুত এ ত্রুটিপূর্ণ তালিকা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
এপিপি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আব্দুল্লাহ আল আমিন, মো. রাসেল রানা, আঁখি আক্তার, তামিমা বিলকিস, হাবিবা সুলতানা, সাবিনা ইয়াসমিনকে আওয়ামীপন্থী আইনজীবী হিসেবে দাবি করে তাদের নিয়োগ বাতিল চেয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
জামালপুর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা বিএনপির সহ-আইন সম্পাদক আইনজীবী নজরুল ইসলাম মোহন ও মোবারক হোসেন।
এসময় শতাধিক আইনজীবী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর উপ-সলিসিটর মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত ৫৪ আইনজীবীকে জামালপুর আদালতে বিভিন্ন পদে আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।