জামালপুরের পুলিশ সুপার সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, বকশীগঞ্জ একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা। তাই এই অঞ্চলে মাদকের প্রবণতা একটু বেশি। যেকোন মূল্যে মাদক প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ যুব সমাজকে ধ্বংস করতে এক মাদকই যথেষ্ট। তাই মাদকের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছি।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে পুলিশ-জনতার মেলবন্ধন সৃষ্টি করতে ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকালে থানা প্রাঙ্গণে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম (পিপিএম সেবা)।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, জনতা-পুলিশের মধ্যে মেলবন্ধন হলে অনেক অপরাধ কমে যাবে। এ কারণে নাগরিক কমিটিতে স্থানীয় জনতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোন অপরাধই নির্মূল করা সম্ভব নয়। জেলা পুলিশের প্রত্যেক সদস্য জনগণের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি বলেন, অতীতে পুলিশের কোন ভুল থাকলে সেগুলো ভুলে গিয়ে নতুন করে আমাদের সহযোগিতা করবেন। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমরা ভাল পুলিশিং উপহার দিতে পারব।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশ বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ, দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কান্তি চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশেদ আলী, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সিদ্ধেশ্বর সাহা, উপজেলা নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মিজানুর রহমান তালুকদার, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, দৈনিক মানব কণ্ঠের সাংবাদিক কাফি পারভেজ, ধানুয়া কামালপুর আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল মোকাদ্দেস রিপন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ, বকশীগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমীর মওলানা আব্দুল মতিন, উপজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি বিপ্লব সওদাগর, উপজেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সদস্য সচিব শাকিল তালুকদার, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জোবাইদুল ইসলাম শামীম ও সবুজ মিয়া প্রমুখ।
নাগরিক সমাবেশে বিভিন্ন পেশা ও সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।