শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতল ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলায় ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ফজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর। গ্রেপ্তার ফজু মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার মীরগঞ্জ গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। ৩ নভেম্বর রবিবার রাতে এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব কর্তৃপক্ষ।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট বিকেল অনুমান ৪টার দিকে কয়েক হাজার দুষ্কৃতিকারী শেরপুর জেলা কারাগারে আক্রমণ করে। এ সময় আক্রমণকারীরা বিবিধ স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধনসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কয়েদিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
জেল থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানি, শেরপুর জেলা কারা কর্তৃপক্ষ এবং শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা পলাতক কয়েদিদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে আসছে র্যাব-১৪। ইতিমধ্যে পলাতক আসামিদের কয়েক জন গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে শেরপুর জেলা সদর উপজেলার সোনার বাংলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় জেল পলাতক কয়েদি ফজু মিয়াকে (৫৬) গ্রেপ্তার করা হয়। তার কয়েদি নম্বর ৭৮৭৬/এ। তিনি শেরপুরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলায় (নম্বর-৪৯/২৪) ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত এবং অতিরিক্ত ৫০/- টাকা অর্থদন্ডিত কয়েদি।
র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের মিডিয়া কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হাই চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ফজু মিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে শেরপুর সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মত জঘন্য অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।